
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের ঢাকা- চট্টগ্রাম মহাসড়কে গাড়ি কম থাকায় মাইক্রোবাস ও পিক-আপে গাদাগাদি করে গন্তব্যস্থলে পৌঁছাচ্ছেন মানুষ। স্বাস্থ্যবিধিরও তেমন কোন বালাই নেই।
সোমবার(১৭ মে) দুপুর ১ টায় ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল মোড়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কে গাড়ির সংখ্যা কম।তাছাড়া গত কয়েকদিন নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দূরপাল্লার বাস চললেও আজকে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে দূর পাল্লার বাস চলতে দেখা যায়নি।এছাড়া তুলনামূলকভাবে সড়কে যাত্রী সংখ্যাও কম দেখা গেছে।
এমদাদ হোসেন কুমিল্লার লাকসাম যাবেন। সড়কে বাস না থাকায় তিনি মালবাহী পিক-আপে করে গন্তব্যস্থলে যাবেন।তিনি জানান,ঈদের আগে ভিড় থাকায় গ্রামে যেতে পারেননি।এখন বাস না থাকলেও সড়কে ভিড় কম থাকায় গ্রামে যাচ্ছেন।
খোদেজা আক্তার গৌরীপুর যাওয়ার জন্য ঘন্টা খানেক শিমরাইল মোড়ে অপেক্ষা করেছেন। পরে গন্তব্যে পৌঁছাতে মাইক্রোবাস বেছে নিয়েছেন। তিনি জানান, লোকাল বাসে সোনারগাঁ পর্যন্ত যেতে চেয়েছিলেন।পরে সেখান থেকে আরেক বাসে গৌরীপুর পৌঁছাতেন। কিন্তু বাস না পাওয়ায় মাইক্রোবাস বেছে নিয়েছেন।
রাজিব হোসেন নোয়াখালী যাবেন।বাস বন্ধ থাকায় তিনিও মাইক্রোবাস বেছে নিয়েছেন। তিনি বলেন, গাদাগাদি করে যেতে হবে।বাস বন্ধ থাকায় মাইক্রোতে ভাড়া বেশি নিচ্ছে।কিছু করার নেই।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের( টিআই) আবদুল করিম জানান, দূর পাল্লার বাস চলাচল রোধে পুলিশ তৎপর রয়েছে।সড়কে অন্যান্য গাড়ির চাপ কম।এদিকে যাত্রীরা স্বাস্থ্যবিধি না মানলে তাদেরকে সচেতন করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি ।
নারায়ণগঞ্জ পোস্ট