সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪

|

কার্তিক ২৬ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

খানাখন্দে ভরা তিন কিলোমিটার সড়কে দুর্ভোগ

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২২:৪০, ৩ জুলাই ২০২৪

আপডেট: ২২:৪২, ৩ জুলাই ২০২৪

খানাখন্দে ভরা তিন কিলোমিটার সড়কে দুর্ভোগ

দুর্ভোগ

নারায়ণগঞ্জ-আদমজী ইপিজেড-শিমরাইল সড়কের নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের অধীনে থাকা তিন কিলোমিটার অংশের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দে ভরে গেছে। এ সড়কের আইইটি স্কুল থেকে চাষাঢ়া পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ ও বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় যানবাহন চলাচলে চরম বিঘœ ঘটছে। এতে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ সড়কে চলাচলরত যাত্রীরা খান্দাখন্দ ভরপুর থাকায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে যানবাহন চালক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যেও।

স্থানীয়দের অভিযোগ, গত দেড় থেকে দুই বছর ধরে এ সড়কটির বিভিন্ন স্পট বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। বুধবার আইইটি স্কুল থেকে চাষাঢ়া পর্যন্ত সরেজমিন গিয়ে অসংখ্য খানাখন্দ দেখতে পাওয়া যায়। এ সময় অটোরিক্সা, মিশুক, ব্যাটারি চালিত রিক্সা, প্রাইভেটকারসহ নানা ধরনের যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হতেও দেখা গেছে। জরুরি ভিত্তিতে খানাখন্দ ও বড় বড় গর্তগুলো মেরামত করার জোর দাবি জানান এলাকাবাসী।

জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ-আদমজী-ডেমরা সড়কটি ঢাকার ডেমরা ও নারায়ণগঞ্জ শহরের মধ্যে সংযুক্ত করেছে। শিমরাইল চৌরাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়ায় এখন নারায়ণগঞ্জ-আদমজী ইপিজেড-শিমরাইল সড়কে পরিণত হয়েছে। এ সড়ক এখন ব্যস্ততম সড়ক হিসেবে অবহিত করা হচ্ছে। এ সড়কটি দিয়ে আদমজী ইপিজেড, নারায়ণগঞ্জ সাইলো, পদ্মা ও মেঘনা জ¦ালানি তেল ডিপোসহ অসংখ্য মিল-কারখানায় কাভার্ডভ্যান, ট্রাক, ট্যাঙ্কলরি চলাচল করছে।

এ ছাড়াও অটোরিক্সা, মিশুক, ব্যাটারি চালিত রিক্সাসহ নানা ধরনের যানবাহন এ সড়ক দিয়ে সারাক্ষণ চলাচল করে। অটো চালক আরিফ হোসেন বলেন, এ সড়কে আইইটি স্কুল, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সামনে, কিল্লা সংলগ্ন এলাকায়, খানপুর, মিশনপাড়া ও খানপুর থেকে চাষাঢ়া পর্যন্ত খানাখন্দে ভরে গেছে। খানাখন্দের কারণে যানবাহন নির্বিঘেœ চলাচল করতে পারে না। খান্দাখন্দের কারণে গাড়ির যন্ত্রাংশ ভেঙে যায়। ফলে সড়কে যানবাহন বিকল হয়ে যাত্রীদের দুর্ভোগ বাড়াচ্ছে।

আরেক অটো চালক রফিক মিয়া বলেন, সড়কে গর্ত ও খানাখন্দের কারণে যানবাহন চলাচলের সময় অসুস্থ রোগীদের নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। বিশেষ করে যারা হৃদরোগ আক্রান্ত রোগী, হাড়জনিত রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি ও অন্তঃসত্ত্বা নারীদের নানাবিধ সমস্যায় পড়তে হয়।

কিল্লা সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা আল-আমিন বলেন, গত দুই থেকে আড়াই বছর ধরে সড়কে খান্দাখন্দ ও গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ মেরামত কাজ করছে না।

আইইটি স্কুলের বাসিন্দা তপন বলেন, সড়কে খানাখন্দ ও অসংখ্য গর্ত থাকায় প্রায় সময়ই এ সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। তাই জরুরি ভিত্তিতে সড়কের খানাখন্দ ও গর্তগুলো মেরামত করার জোর দাবি জানাচ্ছি।

পাঠানটুলীর বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন আমাকে এ সড়কটি ব্যবহার করে চারবার চাষাঢ়ায় যেতে হয়। অথচ এ সড়কটির বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দ ও বড় বড় গর্ত। এ সড়কটির দেখাশুনার দায়িত্বে কেউ রয়েছেন বলে মনে হচ্ছে না। সড়কটি জরুরি ভিত্তিতে মেরামত না করলে যে কোনো সময় ঘটতে পারে সড়ক দুর্ঘটনা।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উপসহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) সুমন চন্দ্র দেবনাথ বলেন, শীঘ্রই এ সড়কের খানাখন্দ ও গর্তগুলো মেরামত করা হবে।