ফাইল ছবি
নির্বাচন পরবর্তী সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে নারায়ণগঞ্জ জেলায় পুলিশের বিশেষ অভিযান অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২ এর আওতায় ৮ জন ফ্যাসিস্টকে গ্রেফতার করেছে জেলা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে অতীতে সন্ত্রাস, নাশকতা ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রবিবার (২১ ডিসেম্বর) জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় পৃথক অভিযান পরিচালনা করে এই গ্রেফতার কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। জেলা পুলিশের একাধিক টিম একযোগে সদর, ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ, বন্দর, রূপগঞ্জ, আড়াইহাজার ও সোনারগাঁও থানা এলাকায় অভিযান চালায়।
সদর মডেল থানা পুলিশ সাবেক জেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ ইছহাক (৭২) কে গ্রেফতার করে। তিনি পাইকপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ যুবলীগের সক্রিয় কর্মী আরিফ মাহমুদ (৫০) কে কোতালের বাগ এলাকা থেকে আটক করে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ দক্ষিণ ওমরপুর সাইলো পশ্চিম কলাবাগান এলাকার মোঃ রুবেল (৩৫) কে গ্রেফতার করে।
বন্দর থানা পুলিশ চাপাতলী শাহেনশাহবাগ এলাকার বাসিন্দা মোঃ বিল্লাল হোসেন (৫৫) কে আটক করে।
রূপগঞ্জ থানা পুলিশ সারোয়ার হোসেন ওরফে রিপনকে গ্রেফতার করে, যার বর্তমান অবস্থান ছিল পূর্বাচল ১১ নম্বর সেক্টর এলাকায়।
আড়াইহাজার থানা পুলিশ দুইজনকে গ্রেফতার করে। তারা হলেন উদয়দী পশ্চিমপাড়া এলাকার মোঃ মাহমুদুল হাসান (৩৬) এবং চম্পকনগর এলাকার মোঃ সাফিন (৪৩)।
সোনারগাঁও থানা পুলিশ মোঃ সাদ্দাম (৩৪) কে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত ৮ জনকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) তারেক আল মেহেদী। তিনি আরও জানান, অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২ এর কার্যক্রম চলমান থাকবে এবং যেকোনো নাশকতামূলক তৎপরতার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে একই দিনে জেলার সাতটি থানা এলাকায় স্থাপিত সাতটি চেকপোস্টের মাধ্যমে ব্যাপক তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এ সময় মোট ৭৫টি যানবাহন ও ২৩৯টি মোটরসাইকেল তল্লাশি করা হয়। ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের দায়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স, রেজিস্ট্রেশন, ফিটনেস ও রুট পারমিট সংক্রান্ত বিভিন্ন অপরাধে ২৫টি প্রসিকিউশন দাখিল করা হয় এবং ১৬টি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
জেলা পুলিশ জানিয়েছে, জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এই ধরনের অভিযান আরও জোরদার করা হবে।

