ফাইল ছবি
সাংবাদিক শরীফ উদ্দিন সবুজের ফেসবুক থেকে নেয়া: বিএনপি নেতারা নিজ নিজ অনুসারীদের নিয়ে যদি সমাবেশে না যেতো তাহলে আজ ১লা নভেম্বর হেফাজত নেতা মনির হোসাইন কাসেমীর নারায়ণগঞ্জের সমাবেশে হয়তো ২০০ লোক খুঁজে পাওয়া যেত না। বিএনপি নেতাদের লোকজন যাওয়ার পরও সমাবেশের চেয়ারগুলি কোন রকমে ভরেছে।
অথচ এই হেফাজত নেতা মনির হোসাইন কাসেমিকে নারায়ণগঞ্জ ৪ ( মূলত এখন ফতুল্লা আসন) বিএনপি ছেড়ে দিতে যাচ্ছে বলে গুঞ্জন রয়েছে।
সর্বশেষ সংসদ নির্বাচনে যখন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে তাকে বিএনপি ছাড় দেয় তখন তিনি ছিলেন নারায়ণগঞ্জবাসির কাছে সম্পূর্ণই অপরিচিত। সাংবাদিকদেরও তার ব্যাপারে তখন খুব একটা আগ্রহ ছিল না।
এমন গুরুত্বপূর্ণ আসনটি বিএনপি কাকে ছাড় দিল কৌতুহল বশত: আমি তাকে দেখতে তার মাদ্রাসায় যাই। ঢাকা আমেরিকান দূতাবাসের উল্টোদিকে তার মাদ্রাসা। তার ব্যবহার অনেক ভালো। তিনি তার মাদ্রাসা আমাকে ঘুরিয়ে দেখালেন। মাদ্রাসাটি বেশ বড়। মাদ্রাসায় তিনি যতটা প্রভাবশালী ফতুল্লা আসনে তার ধারে কাছেও নন।
তবে গুঞ্জন রয়েছে, জনপ্রিয়তা নয় বরং তাকে এই আসনটি ছেড়ে দেওয়ার পেছনে মূলত: কাজ করছে তার সাথে দুটি প্রভাবশালী বিদেশী রাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ।
ফতুল্লা বলতে গেলে বিএনপিরই এলাকা। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে যখনই আওয়ামীলীগ পাস করেছে সেটা করেছে সিদ্ধিরগঞ্জের ভোটে।
১৯৭৩ সালে বাংলাদেশের প্রথম নির্বাচনে সারাদেশে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ ভাবে পাশ করে। তখন নারায়ণগঞ্জ-৪ ছিলো ঢাকা-৩১ আসন। শুনেছি সেবারও আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে সিদ্ধিরগঞ্জের ভোটে পাস করতে হয়। এই আসনে এ কে এম শামীম ওসমানের পাশ করা ও সারা বেগম কবরীর পাশ করা নিয়েও রয়েছে নানা প্রশ্ন।
এমন একটি আসন কেন বিএনপি ছাড় দিবে? কেন নারায়ণগঞ্জে নিজের সাংগঠনিক দক্ষতা ইচ্ছে করে দুর্বল করে রাখবে? বিএনপি'র কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সেটা ভেবে দেখতে পারে।

