মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

|

ভাদ্র ৩১ ১৪৩২

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

বন্দরে নদীতে বাদিং চার্জ আদায়ের নামে চলছে চাঁদাবাজি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ২২:০৬, ২৪ জানুয়ারি ২০২৩

বন্দরে নদীতে বাদিং চার্জ আদায়ের নামে চলছে চাঁদাবাজি

আহসান উল্ল্যাহ

বন্দরে ব্রম্মপুত্র  নদীতে বাদিং চার্জ আদায়ের নামে ব্যাপক চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে ঘাট ইজারাদার আহসান উল্ল্যাহ বিরুদ্ধে। সরকারি নিয়ম নীতিকে তোয়াক্কা না করে নিজের মনগড়া মত নদী পথে চলাচলরত বালু ও মাটির ট্রলার থেকে ১৫’শ টাকা হতে ২ হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। ঘাট আছে তবে সরকারি কোন পল্টনের দেখা মিলেনি ওই স্থানে। পল্টন না থাকলেও ইজারাদার মোঃ আহসান উল্যাহ নিজের ইচ্ছে মত ঘাট পরিচালনা করে আসছে। দেখার যেন কেউ নেই!। 

তথ্য সূত্রে জানা গেছে, সম্ভুপুরা- লাঙ্গলবন্ধ ব্রম্মপুত্র নদীতে বাদিং চার্জ শুল্ক আদায়ের ইজারা নেয় আহসান উল্যাহ নামে এক ব্যাক্তি। বাংলাদেশ অভ্যন্তরিন নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে ৪ মাস পূর্বে এ ঘাটের ইজারা নেয় আহসান উল্যাহ। নারায়ণগঞ্জ দেওভোগ এলাকার শহিদুল্লাহ মিয়ার ভাই আহসান উল্যাহ মাসিক হারে প্রায় লক্ষাধিক টাকায় ইজারা নেয়। সরকারি কোষাগারে মাসিক লক্ষাধিক টাকা জমা হলেও প্রতিদিন বাদিং চার্জের নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে সে। সরকারি নিয়ম নীতিকে তোয়াক্কা না করে নিজের মন গড়া মত ব্লাক হেড থেকে টাকা আদায় করে নিচ্ছে তিনি। বালুর ট্রলার হতে টাকা নিলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই টাকার 'রশিদ' দেয়া হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে।  টাকার রশিদ না দিলেও কেউ টু- শব্দ করতে সাহস পায় না। ইজারাদার প্রভাবশালী পরিবারের হওয়ায় সকল কিছু যেন তার কথা মতই চলে। নির্ধারিত স্থানে পল্টনে মালবাহী,  বালু বা মাটির ট্রলার থামলে টাকা দেয়ার নিয়ম থাকলেও তা মানছে কে? চলন্ত কোন ট্রলার থামিয়ে টাকা নিলে তা চাঁদাবাজির আওতায় পড়ে। সকল কিছু দেখেও যেন অসহায় হয়ে পড়েছে স্থানীয় লোকজন। প্রশাসনের ভূমিকাও রহস্যজনক। সকল সেক্টর ম্যানেজ করে সম্ভুপুরা- লাঙ্গলবন্ধ নদীতে বাদিং চার্জ আদায়ের নামে চলছে ব্যাপক চাঁদাবাজি। 

এ ব্যাপারে ঘাট ইজাদার আহসান উল্ল্র্যাহ  সাথে যোগাযোগ করা চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।  সার্বিক বিষয়টি তদন্ত পূর্বক নদী পথে হয়রানি রোধে জেলা পুলিশ সুপারের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।