
ফাইল ছবি
বন্দরে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ভূয়া ওয়ারিশ সনদপত্র দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু ও স্থানীয় দুই মেম্বার মনোয়ার ও লাভলী মেম্বারের বিরুদ্ধে । এ ঘটনায় প্রকৃত ওয়ারিশগনের পক্ষে রিয়াদ হোসেন বাদী হয়ে রোববার (১২ অক্টোবর) দুপুরে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মঞ্জু, মনোয়ার মেম্বার, লাভলী মেম্বার ও দেলোয়ার হোসেনের নাম উল্লেখ্য করে ও আরো ২/৩ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে বন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা ও বন্দর থানায় পৃথক দুইটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের তথ্যসূত্রে জানা গেছে, বন্দর উপজেলার বাকসরাইল এলাকার মৃত দুদু মিয়ার ছেলে রিয়াদ হোসেনের পৈত্রিক জমিজমা নিয়ে তাদের নিজেদের মধ্যে ঝামেলা চলছিল। ওই সুযোগে মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু ও একই ইউনিয়নের বাকসরাইল এলাকার মৃত সিহাব উদ্দিনের ছেলে মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মনোয়ার ও তার ভাই দেলোয়ার ও বাজুরবাগ এলাকার আমান উল্লাহ মিয়ার স্ত্রী লাভলী মেম্বার অসৎ উদ্দেশ্যে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়ে প্রকৃত ওয়ারিশগনের নাম বাদ দিয়া ১। মোঃ সুরুজ, ২। ফজলুল হক, ৩। গোলবাহার বেগম, ৪। ফুল বাহার বেগম, ৫। কাজী নুরুল ইসলাম, ৬। কাজী গিয়াস উদ্দিন, ৭। কাজী ছালাউদ্দিন, ৮। আলাউদ্দিন, ৯। হাসনারা বেগম, ১০। খোদেজা বেগমগংদের নামে ভুয়া ওয়ারিশ সাটিফিকেট দেয়।
এ ব্যাপারে অভিযোগকারি ও তার পরিবার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মঞ্জুকে ওয়ারিশ সনদ দিতে নিষেধ করিলে এর জের ধরে গত ৫ অক্টোবর সকাল ৯টায় উল্লেখিত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মঞ্জু, মনোয়ার মেম্বার, তার ভাই দেলোয়ার হোসেন ও লাভলী মেম্বারসহ ২/৩ জন অজ্ঞাত নামা বিবাদী বন্দর উপজেলার বাকসরাইল এলাকার অভিযোগের বাদী বাসায় এসে উল্লেখিত বিষয় নিয়ে বাদী রিয়াদ হোসেনকে প্রকাশ্যে খুন জখম হুমকি দেয়। উল্লেখিত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের হুমকির কারনে বাদীসহ তার পরিবার চরম নিরাপত্তা হীনতায় ভূগছে। উল্লেখিতরা অর্থ হাতিয়ে নিয়ে ভূয়া ওয়ারিশ সনদ ব্যবহার করে অভিযোগের বাদীর সম্পত্তি আত্মসাত করার পাঁয়তারা করছে। যা সম্পর্ন বে-আইনী ও প্রতারনামূলক।
মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু সাথে মোবাইল ফোনে আলাপ কালে তিনি জানান, অভিযোগটি মিথ্যা। ভুল ত্রুটি হতে পারে। আমাকে জানাতে পারত । সে আমাকে এ ব্যাপারে কিছু জানায়নি।
বন্দর থানার ওসি লিয়াকত আলী জানান, অভিযোগটি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত রির্পোট হাতে পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।