
ফাইল ছবি
বন্দরে ডোবা থেকে প্রবাস ফেরৎ যুবক সামছুল হক (৩৬) এর মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত যুবকের পিতা ইব্রাহিম মিয়া বাদী হয়ে গত রোববার (১২ অক্টোবর) রাতে আটককৃত সবুর ওরফে সবুজের নাম উল্লেখ্যসহ আরো ৫/৬ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে বন্দর থানায় এ হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ২৪(১০)২৫।
এদিকে পুলিশ থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে হত্যকান্ডের ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে সবুর ওরফে সবুজ (৩০) ও অলি (৩২)কে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত সবুর ওরফে সবুজ পুরান বন্দর চৌধুরীবাড়ী এলাকার ইয়ানবী মিয়ার ছেলে। সে দীর্ঘ দিন ধরে বন্দর থানার কবিলের মোড় এলাকায় তার বোনের বাড়িতে বসবাস করে আসছিল। অপরধৃত অলি মিয়া বন্দর শাহীমসজিদ এলাকার মৃত জয় মিয়ার ছেলে। সোমবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের উল্লেখিক মামলায় আদালতে প্রেরণ করা হলে ধৃত অলি মিয়া হত্যাকান্ডের দায় স্বিকার করে বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধরায় জবানবন্দি প্রদান করে। নিহত সামছুল হক পুরান বন্দর চৌধুরীবাড়ী এলাকার ইব্রাহিম মিয়ার ছেলে।
এর আগে এর আগে গত শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বিকেল ৩টার পর থেকে প্রবাস ফেরৎ যুবক সামছুল হক নিখোঁজ হয়।
নিহতের আত্মীয় ও বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানাগেছে, পুরান বন্দর চৌধুরীবাড়ী এলাকার বাসিন্দা ১ সন্তানের জনক সামছুল হক দীর্ঘ দিন প্রবাসে জীবন যাপন করে অসুস্থ্য জনিত কারনে গত ১ বছর পূর্বে দেশে আসে । গত বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) রাতে প্রবাস ফেরৎ যুবক সামছুল হকের নিকট থেকে তারই বন্ধু সবুজ মিয়া একটি মোবাইল সেট ক্রয় করে। মোবাইল ফোনটি নষ্ট থাকার কারনে মোবাইল বিক্রেতা সামছুল হকের সাথে তারই বন্ধু মোবাইল ক্রেতা সবুরের সাথে বাকবিতন্ড পর থেকে নষ্ট মোবাইল বিক্রেতা সামছুল হক নিখোঁজ হয়। এর ধারাবাহিকতা গত রোববার সকালে স্থানীয় এলাকাবাসী জনৈক মুন্না মিয়ার পুকুরে অজ্ঞাত লাশ দেখতে পেয়ে বন্দর থানা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ বন্দর ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় উল্লেখিত পুকুর থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি লিয়াকত আলী জানান, এ ব্যাপারে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে ধৃত অলি বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেছে।