ফাইল ছবি
ব্যাংক লোন ও নিজের জমানো টাকায় নির্মিত মুক্তিযোদ্ধার ৩ তলা বাড়ি দখলে নেয়ার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে নাসিক কাউন্সিলরের বডিগার্ড ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। একই সময় তারা ঐ বাড়ির ভাড়ার টাকা মুক্তিযোদ্ধাকে না দিয়ে প্রতিমাসে তাদের হাতে দেয়ার জন্য শাসিয়ে দেয় ভবনের ভাড়াটিয়াদের। এ ঘটনায় ভীতসন্ত্রস্ত ঐ মুক্তিযোদ্ধা গতকাল সোমবার (২ জানুয়ারী) সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ২নং সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধা মাহাবুব এনামুল হক (মুক্তি নং-০১৩০০০০১৫৪০) সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ১ নং ওয়ার্ডের পাইনাদী নতুন মহল্লা এলাকায় ৩ তলা একটি বাড়ি নির্মাণ করে। ঐ বাড়ির তিন তলায় তিনি বসবাস করেন এবং প্রথম ও দ্বিতীয় তলা ভাড়া দেন। গতকাল সোমবার দুপুরে নাসিক ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার ইসলামের বডিগার্ড মুল্লুক চাঁনের ছেলে মাসুদ ওরফে মাল্টিপারপাস মাসুদ, আলী বক্সের ছেলে আমির ফয়সাল, হাজী কাশেমের ছেলে রিপনসহ ৪/৫ জন সন্ত্রাসী ঐ বাড়িতে যায়। সে সময় তারা ঐ বাড়ি অচিরেই তারা দখল করার হুমকি দিয়ে তাদেরকে প্রতিমাসে ভাড়ার টাকা প্রদানের জন্য ভাড়াটিয়াদের নির্দেশ দেন। একই সময় তারা তৃতীয় তলায় মুক্তিযোদ্ধার ফ্লাটে গিয়ে তার স্ত্রী ও সন্তানদের সামনে মুক্তিযোদ্ধাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে। এ সময় কাউন্সিলর আনোয়ার ইসলামের বডিগার্ড আমির ফয়সাল, মাসুদ রানা, রিপনসহ সন্ত্রাসীরা মুক্তিযোদ্ধাকে ভাড়ার টাকা না নিতে হুমকি দেয়। প্রতিমাসে ভাড়ার টাকা দিতে এবং তার সাথে যোগাযোগ রাখতে মাসুদ রানা তার মোবাইল নং- ০১৭৮৭---১৭১ ভাড়াটিয়াদের সরবরাহ করে। ঘটনার আকস্মিকতায় কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়ে মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারের সদস্যরা। পরবর্তীতে তিনি সোমবার বিকালে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ (নং-৩৩) দায়ের করেন।
এ ব্যপারে মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব এনামুল হক সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের জানায়, আমার কোন এক প্রতিপক্ষের পক্ষ নিয়ে কাউন্সিলর আনোয়ার ইসলামের বডিগার্ড মাসুদ রানা, রিপন ও আমির ফয়সালসহ ৪-৫ জন সন্ত্রাসী আমার বাড়ি দখল ও আমার বাড়ির ভাড়াটিয়াদের ভাড়া তাদেরকে দিতে বলে। এসময় সন্ত্রাসীরা আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের অকথ্যভাষায় গালমন্দ করে। এতে আমি চরম নিরপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এ ব্যাপার নাসিক ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এ সাংবাদিককে তার অফিসে যাওয়ার অনুরোধ করে।
এ ব্যাপারে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মশিউর রহমান পিপিএম (বার) জানায়, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যপারে কথা বলতে বডিগার্ড মাসুদ রানার ফোনে একাধিকবার ফোন দিলে তিনি ফোন কেটে দেন।