
ফাইল ছবি
কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের নতুন কমিটি হবার পর নারায়ণগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন বলয়ে গতি আসলেও গতি হারিয়েছে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমানের বলয়ে। কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হবার জন্য যে স্বপ্ন তিনি দেখেছিলেন নতুন নেতাদের ক্ষেত্রে তা আর সম্ভব নয় বলে দলীয় একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে।
জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান বর্তমানে রূপগঞ্জের কাজী মনিরুজ্জামান বলয়ে কাজ করছেন। মাহবুব কখনো এক গুরুতে বিশ্বাসী নয়। কখনো রূপগঞ্জে অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার, কখনো কাজী মনিরুজ্জামান কিংবা কখনো দিপু ভুঁইয়া বলয়ে থেকে রাজনীতি করেছেন। জেলায় যেমন গুরু পরিবর্তন করেন ঘন ঘন তেমনি কেন্দ্রেও গুরু পরিবর্তন করতে পটু মাহবুব। জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সায়েমের মাধ্যমে দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদকে ম্যানেজ করেন মাহবুব। তবে নেতা পরিবর্তনের এ চরিত্র আজাদ জ্ঞাত থাকায় সেভাবেই তিনি মাহবুবকে নিয়ন্ত্রণ করেন।
জানা যায়, সম্প্রতি জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক ছড়িয়ে দেন তিনিই সংগঠনের জেলার পরবর্তী সভাপতি। ইতোমধ্যে কেন্দ্র থেকে নাকি এ ধরনের সিগন্যাল দেয়া হয়েছে। এর আগেও বর্তমান কমিটিতে পদ পাবার আগে তিনি স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রয়াত সভাপতি শফিউল বারী বাবুর স্ত্রী বিথিকা বিনতে হোসাইনের অর্পন সংগঠনে বড় ধরনের আর্থিক ডোনেশন দিয়ে পদ নেন বলে ছড়িয়ে দেয় মাহবুবের নেতাকর্মীরা। সেসময় কমিটি থেকে জেলার সভাপতি সায়েমকে বাদ দিতে নানা চেষ্টা করেন মাহবুব। তবে শেষ পর্যন্ত সে চেষ্টা সফল হয়নি। এবারো জেলার সভাপতি হচ্ছেন ছড়িয়ে দেয়া মাহবুবের স্বপ্ন ভঙ্গ হলো কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের নতুন নেতৃত্ব আসায়।
কেন্দ্রীয় সুত্রমতে, ৪ সেপ্টেম্বর স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি করা হয়েছে এসএম জিলানীকে, যিনি সবশেষ কমিটিতে ১নম্বর সদস্য ছিলেন। আর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাজীব আহসানকে করা হয়েছে সাধারণ সম্পাদক। সিনিয়র সহসভাপতি করা হয়েছে আগের কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াছিন আলীকে। সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক করা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজকে, যিনি আগের কমিটিতেও একই পদে ছিলেন।
৫ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে নাজমুল হাসানকে।
কেন্দ্রীয় সুত্রমতে, নতুন এ নেতৃত্বের কাছে মাহবুবের গ্রহণযোগ্যতা একেবারে নেই বললেই চলে। তারা সাংগঠনিক ও রাজপথের সাহসী তরুণ নেতাদের হাতে নারায়ণগঞ্জের কমিটি তুলে দিতে চান।