ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জে রমজান মাসের পর ঈদেও দলের নেতাকর্মীদের পাশে থাকতে দেখা যায়নি বিএনপি দায়িত্বশীল নেতাদের।
এর মাঝে দলের জেলার অনেক নেতাকর্মী এখনো ২৮ অক্টোবরের পর থেকে দায়ের হওয়া মামলাগুলোতে জামিন পাননি। ফলে ফেরারী থেকে ঈদ উদযাপন করতে হয়েছে অনেককে।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) ঈদের তৃতীয় দিনে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
দলের নেতাকর্মীরা জানান, ঈদকে কেন্দ্র করে গত বছরও নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রতিটি উপজেলায় ঈদ পুনর্মিলনী হয়েছে নেতাদের উদ্যোগে। জেলা ও মহানগরের দায়িত্বপ্রাপ্তরা, শীর্ষ নেতারা, এমপি প্রার্থীরা এসব আয়োজন করেছিলেন। ঈদের আগে রমজানজুড়ে গত বছরও নেতাকর্মীদের খোঁজ খবর রাখা তাদের পাশে থাকার দায়িত্ব পালন করেছিলেন। কিন্তু যেহেতু এবার আর সামনে নির্বাচন নেই আবার দলের রাজনীতিও তেমন চাঙ্গা না তাই নেতাকর্মীদের কেউ খোঁজ রাখেননি।
তারা জানান, ২৮ অক্টোবরের পর থেকে চুড়ান্ত আন্দোলন শুরু হলে মামলার পর মামলা হতে থাকে। এসব মামলা আসামি হওয়া শতাধিক নেতাকর্মী এখনো জামিনে নেই। জেলার এসব নেতাকর্মীদের এবার ঈদ দুর্বিসহ। ঈদেও তাদের ফেরারী জীবন যাপন করতে হয়েছে। রাজনীতি করার কারণে পরিবার থেকে দূরে থাকার পর এখন নেতারাও খোঁজ নেয়না।
এদিকে জেলার কোথাও ঈদের পর নেতাকর্মীদের নিয়ে ঈদ পুনর্মিলনী কিংবা নেতাকর্মীদের সাথে সাক্ষাতের আয়োজন করেননি কোন নেতা। দলের এহেন পরিস্থিতি এ অবস্থায় ক্ষুব্দ নেতাকর্মীরা।
জামিন না পাওয়া জেলা ছাত্রদলের একজন সাবেক শীর্ষ নেতা জানান, রমজান মাসজুড়ে আমরা বার বার বলেছি নেতাদের কিন্তু আমাদের জামিনের ব্যবস্থা হয়নি। ঈদের আগে কাজ করতে পারিনি, নেতারা খোঁজ নেয়নি। ঈদের সেভাবে পরিবারের পাশে থাকতে পারিনি। আমাদের জীবন এখন বিএনপির রাজনীতি করার কারণে দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। তবে দলের এত বাঘা বাঘা নেতারা আমাদের কেউ খোঁজ নেয়নি। ঈদের পরও ডাকেনি। এমন হলে রাজনীতির মাঠে আর ত্যাগীদের খুঁজে পাওয়া যাবেনা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, আমরা মহানগরের সকল নেতাকর্মীদের জামিনের ব্যবস্থা করেছি। জামিন বাকি আছে জেলার কিছু থানার নেতাকর্মীদের হয়তো। এখন তো সকলেরই অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ। তবুও আমরা ৪ জনকে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ঈদ উপহার পৌছে দিয়েছি। আরো নেতাকর্মীদের গোপনে নেতারা সহায়তা করেছেন। আমরা একে অপরের পাশে আছি।
তিনি বলেন, ঈদের পর সেভাবে তো ঈদ পুনর্মিলনী করা হয়নি তবে আমরা মুঠোফনে নেতাকর্মীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছি। আমরা নেতাকর্মীদের সাথে সবসময় যোগাযোগ রক্ষা করছি।