
ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার মাসদাইর থেকে সাইফুল ওরফে পাগলা সাইফুলের গ্রেফতারের পর কিশোর গ্যাং লিডার নাহিয়ান আজম ইভন হত্যা মামলার এজাহার নামীয় রাতুল ওরফে টুটুল(২৯) নামের আরো এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত এজাহারনামীয় আসামী রাতুল ওরফে টুটুল ফতুল্লা মডেল থানার ইসদাইর এলাকার শহিদ ভিলার ভাড়াটিয়া আলম শিকদারের পুত্র।
গত ৯ সেপ্টম্বর মঙ্গলবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে ফতুল্লার ইসদাইর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এর আগে ৮ সেপ্টেম্বর সোমবার রাত নয়টার দিকে নাহিয়ান আজম ইভন হত্যা মামলার এজাহার নামীয় প্রধান আসামি সাইফুল ওরফে পাগলা সাইফুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেফতারকৃতদেরকে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
জানা যায়, গত ৭ সেপ্টেম্বর রোববার রাত নয়টার দিকে নিহত কিশোর গ্যাং লিডার নাহিয়ান আজম ইভন তার দুই বন্ধু সিয়াম এবং নাছিমকে নিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে ইসদাইর থেকে জামতলার দিকে যাচ্ছিলো। পশ্চিম ইসদাইরস্থ পৌর স্টেডিয়ামের গেইটে পৌছানো মাত্র পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এজাহারনামীয় আসামি সাইফুল ওরফে পাগলা সাইফুল,তার দুই ভাই আনোয়ার হোসেন বাবু, শফিকুল ইসলাম, এবং সহোযোগি শুক্কুর ও রাতুল ওরফে টুটুল, রাজু সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৩-৪ জন সন্ত্রাসী ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ইভন মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে তাকে টেনে হিচড়ে মোটর সাইকেল থেকে নামিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে কোপায়। ইভনকে রাস্তায় ফেলে রেখে তার ব্যবহৃত মোটর সাইকেল ও লুট করে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরবর্তীতে ইভনকে প্রথমে শহরের খানপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহত নাহিয়ান আজম ইভনের বাবা এস,এম বাবু বাদী হয়ে শফিকুল ইসলাম, সাইফুল ওরফে পাগলা সাইফুল, আনোয়ার হোসেন বাবু এবং সহোযোগি শুক্কুর ও রাতুল ওরফে টুটুল,রাজু সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৩-৪ জন কে অভিযুক্ত করে ফতুল্লা মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহার নামীয় আসামি সাইফুল ওরফে পাগলা সাইফুল ও রাতুল ওরফে টুুটলকে সোমবার রাতে গ্রেফতারের পর মঙ্গলবার দুপুরে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) হাছিনুজ্জামান জানান, নিহত নাহিয়ান আজম ইভন হত্যার ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই এজাহারনামীয় দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে। তাদেরকে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা বেশ কিছু গুরত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করেছে।