
ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জের মাসদাইর কেন্দ্রীয় সিটি শ্মশানের পিছনের পুকুরে অবৈধ বেড়া নির্মাণের ঘটনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে এক জরুরি বৈঠক করেছেন জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা।
রোববার সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে সনাতন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন ধরে প্রচলিত ধর্মীয় কার্যক্রমে এ ধরনের অবৈধ দখল ও নির্মাণে গুরুতর প্রতিবন্ধকতার কথা তুলে ধরেন।
নেতৃবৃন্দ জানান, প্রায় ৩০০ বছর ধরে পূজা-অর্চনা, শবদেহ দাহ এবং নাভি পুকুরে বিসর্জনসহ সনাতন ধর্মীয় রীতি নির্বিঘ্নে চলে আসছে। অথচ গত কয়েক বছর ধরে জনৈক মনির গং পুকুরটির মালিকানা দাবি করে অবৈধভাবে ভরাট, বসতি নির্মাণ ও ভাড়া আদায় করছেন। সর্বশেষ ২ সেপ্টেম্বর শ্মশানের চুলা সংলগ্ন পুকুরে বেড়া নির্মাণ করে শবদেহ দাহ কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার উপক্রম সৃষ্টি হয়।
বক্তারা আরও জানান, উক্ত পুকুরের মালিকানা নিয়ে মামলা বিচারাধীন রয়েছে এবং এটি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে অধিগ্রহণের প্রক্রিয়াধীন। বিষয়টি জাতীয় ও স্থানীয় সংবাদপত্রে প্রকাশিত হলে সাধারণ মানুষসহ বিভিন্ন নাগরিক ও সামাজিক সংগঠন ক্ষোভ প্রকাশ করে এবং পুকুর আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার দাবি জানান।
বৈঠকে জেলা প্রশাসক উভয় পক্ষের বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং আগামীকালের মধ্যে পুকুরের বেড়া অপসারণের নির্দেশ দেন। মনির গং নির্দেশ মানার বিষয়ে সম্মতি দেন। একইসঙ্গে জেলা প্রশাসক দ্রুত অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ করার আশ্বাস দেন। বৈঠকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় সনাতন সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন মাসদাইর কেন্দ্রীয় সিটি শ্মশান উন্নয়ন কমিটির আহ্বায়ক ও সাবেক কাউন্সিলর অসিত বরণ বিশ্বাস, পরিতোষ কান্তি সাহা, নারায়ণ চন্দ্র দেব, শংকর সাহা, সুজন সাহা, তারাপদ আচার্য্য, ভবানী শংকর রায়, লিটন পাল, হিমাদ্রি সাহা, এডভোকেট রাজিব মণ্ডল, আশীষ দাস, প্রদীপ দাস, অভয় রায়, প্রদীপ সরকার, কিশোর দাস, সৌরভ সাহা, সুজন দাস, সুব্রত সাহা, কার্তিক ঘোষ, পূরবী মজুমদার, আনন্দ সেরওয়াগী, গোবিন্দ ঘোষ, সমীর কর্মকার, কানাই সাহা, খোকন সাহা, নয়ন সাহা, ঋষিকেশ মণ্ডল, শিবু দাসসহ আরও অনেকে।