
ফাইল ছবি
আজ দেশের ১৯টি হলে মুক্তি পাচ্ছে ‘আমার শেষ কথা’। মোহাম্মদ ইসলাম পরিচালিত ছবিটিতে প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয় চৌধুরী ও কাজী জারা। সচেতন ফিল্ম মিডিয়ার ব্যানারে সিনেমাটি প্রযোজনাও করেছেন ইসলাম।
জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জের একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে ছবিটি তৈরি হয়েছে। গল্পের নায়ক মানুষ পাচার করে। একপর্যায়ে নিজের স্ত্রীকেও পাচার করে দেয়। তবে একটি ঘটনা বদলে যায় তার জীবন। এমন গল্প নিয়ে ২০২৩ সালে নির্মাণ শেষে ছাড়পত্রের জন্য তৎকালীন সেন্সর বোর্ডে জমা পড়ে। কিন্তু চলচ্চিত্র সেন্সরশিপ আইন-১৯৬৩-এর ৪বি(১) উপধারা লঙ্ঘন করায় আপিল আবেদন নামঞ্জুর করে সিনেমাটির প্রদর্শনী নিষিদ্ধ করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। বেশ কয়েকটি দৃশ্য আবার শুট করে জমা দেওয়ার পর মেলে মুক্তির ছাড়পত্র।
ছবিটির কোনো ধরনের প্রচারে শিল্পীদের দেখা যায়নি। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানও নীরব। নায়ক জয় চৌধুরী জানান, প্রযোজকের অপেশাদারত্বের কারণে সিনেমার প্রচার করছেন না তিনি। জয় বলেন, ‘মনে হয়েছে, তিনি একজন অপেশাদার প্রযোজক।
তিনি মনে করেন, শুটিং শেষ মানে পুরো কাজ শেষ। সিনেমার পোস্টপ্রোডাকশন যে অনেক বড় একটি বিষয়, সেটা তিনি বোঝেন না। ভালো পোস্টপ্রোডাকশন হলে, একটি ভালো ট্রেলার ও গান হলে দর্শকেরা আগ্রহী হতেন। অথচ তাঁরা প্রোডাকশনে, প্রচারে খরচ করতে চাননি। যদি পোস্টপ্রোডাকশনের কাজ ভালো হতো, তাহলে দর্শকের কাছে উপভোগ্য হতো। এ ছাড়া এটি কয়েক বছর আগে নির্মিত সিনেমা।
পোস্টপ্রোডাকশনে বেশি জোর দেওয়া উচিত ছিল। অনেকবার বুঝিয়েছি। শেষ পর্যন্ত আমার কথা শোনা হয়নি। সব মিলিয়ে আমার কাছে এর গুণগত মান ভালো লাগেনি, তাই চুপ করে আছি।’
ছবিটি দিয়ে ঢালিউডে কাজী জারার অভিষেক হচ্ছে। সম্পর্কে তিনি জয় চৌধুরীর শ্যালিকা। জয় চৌধুরীর মতো প্রযোজকের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ আনলেও নিজের প্রথম সিনেমা মুক্তিতে সব ভুলে থাকার কথা বলেছেন তিনি।
কাজী জারা বলেন, ‘আমাকে কিছু জানানো হয়নি, এরপরও নিজ উদ্যোগে ফেসবুকে প্রচার চালাচ্ছি। প্রথম সিনেমা মুক্তি পাওয়া যেকোনো শিল্পীর জন্যই অনেক বড় কিছু। প্রযোজক যদি প্রচারে আমাকে চাইতেন, আমি অবশ্যই আসতাম।’
নায়ক–নায়িকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পরিচালক ও প্রযোজক মোহাম্মদ ইসলাম। প্রথম আলোকে তিনি জানিয়েছেন, নায়ক-নায়িকা থেকে সাড়া না পাওয়ায় প্রচার করেননি তিনি। মোহাম্মদ ইসলাম বলেন, ‘অনেক পরিশ্রম করে ছবিটি বানিয়েছি। ১৯টি হলে মুক্তি পাচ্ছে, এর মধ্যে যমুনা ব্লকবাস্টারস সিনেপ্লেক্সও আছে। নায়ক-নায়িকা প্রচারে সময় দিলে দর্শকেরা আগ্রহী হতো। কিন্তু যোগাযোগ করে তাঁদের পাইনি।’
ছবিতে আরও অভিনয় করেছেন কাজী হায়াৎ, মাহমুদুল ইসলাম মিঠু, রেবেকা, ববি, সুব্রত, রিনা খান প্রমুখ।