ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জে সরবরাহ বাড়ায় বাজারগুলোতে শীত ও গ্রীষ্মকালীন সবজির দাম কমেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের সবজি কেজিতে ২০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। একই সঙ্গে এসব বাজারে মুরগির দাম কেজিতে ১০ থেকে ৩০ টাকা কমেছে।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) দিগুবাবুর বাজারঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সরবরাহ বাড়ায় শীতকালীন সবজি শিমের দাম কেজিতে ৮০ টাকা কমে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। টমেটো কেজিতে ৬০ টাকা কমে ১০০ টাকা, গাজর কেজিতে ৪০ টাকা কমে ৮০ থেকে ১০০ টাকা, মুলা কেজিতে ২০ টাকা কমে ৪০ টাকা, ফুল কপি ছোট আকারের ৪০ থেকে ৫০ টাকা পিস, বাঁধা কপি ৫০ থেকে ৬০ টাকা এবং লাউ ৩০ থেকে ৫০ টাকা পিস দরে বিক্রি হচ্ছে।
এসব বাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজি কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে। বাজারে ঝিঙ্গা ৬০ টাকা, করলা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচামরিচ প্রকারভেদে ১৬০ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পেঁপে ২০ থেকে ৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া কেজিতে ১০ টাকা কমে ৩০ টাকা, দেশি শসা ৬০ টাকা এবং হাইব্রিড শসা ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
সরবরাহ বাড়ায় সবজির দাম অনেকটাই কমেছে বলে জানিয়েছেন বাজারের সবজি বিক্রেতা সুমন মিয়া। তিনি বলেন, গত সপ্তাহের চেয়ে সবজির দাম অনেকটা কমেছে। সরবরাহ বাড়ছে দাম আরো কমে আসবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
এদিকে সবজির দাম কমতে শুরু করায় কিছুটা স্বস্তি মিলছে ভোক্তাদের। ক্রেতারা বলছেন অনেক সবজিই এখন ৫০ টাকা কেজিতে কেনা যাচ্ছে। যা গত সপ্তাহেও ৬০ থেকে ৮০ টাকার নিচে কেনা সম্ভব হয়নি।
তালতলা বাজারে আসা এমটিবি ব্যাংকে কর্মরত আবুল কাশেম বলেন, গত সপ্তাহে শিম ১৬০ টাকা দরে কিনেছিলাম আজ ৮০ টাকা দরে কিনলাম। অনেক সবজি ৫০ টাকা কেজি দরের নিচে পাওয়া যাচ্ছে। বাজারে এসে কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
বাজারগুলোতে লেবুর হালি ২০ থেকে ৪০ টাকা, ধনে পাতা ৩০০ টাকা কেজি, কাঁচা কলা হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, চাল কুমড়া ৪০ টাকা পিস, ক্যাপসিকাম ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারগুলোতে লালশাক ২০ টাকা আঁটি, লাউশাক ৫০ টাকা, কলমিশাক ২ আঁটি ৩০ টাকা, পুঁইশাক ৪০ টাকা এবং ডাটাশাক দুই আঁটি ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আলু ২৫ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারগুলোতে সোনালি কক মুরগি কেজিতে ৩০ টাকা কমে ২৮০ টাকা এবং সোনালি হাইব্রিড মুরগি ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। লাল লেয়ার মুরগি ৩০০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ১০ টাকা কমে ১৭৫ টাকা এবং দেশি মুরগি ৫৮০ থেকে ৫৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এসব বাজারে এক কেজি শিং মাছ চাষের (আকার ভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৫৫০ টাকায়, দেশি শিং ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকার ভেদে) ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকায়, দেশি মাগুর মাছ ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা, মৃগেল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়, চাষের পাঙ্গাস ২০০ থেকে ২৩০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ১৪০০ টাকায়, বোয়ালমাছ প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায়, বড় কাতল ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকায়, পোয়া মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০ টাকায়, কৈ মাছ ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১৩০০ টাকায়, টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি মাছ ৫০০ টাকায় এবং পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এসব বাজারে গরুর মাংস কেজি প্রতি ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকায়, গরুর কলিজা ৭৮০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারগুলোতে দেশি আদা ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, চায়না আদা ২০০ টাকা, রসুন দেশি ১০০ টাকা এবং ইন্ডিয়ান ১৬০ টাকা, দেশি মশুর ডাল ১৬০ টাকা, মুগ ডাল ১৮০ টাকা, ছোলা ১১০ টাকা এবং খেসারির ডাল ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকায়, হাঁসের ডিম ২১০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ১১০ টাকা এবং সোনালি কক মুরগির ডিমের হালি ৭০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
এসব বাজারে মিনিকেট চাল প্রকারভেদে ৮৫ থেকে ৯২ টাকা এবং নাজিরশাইল ৮৪ থেকে ৯০ টাকা, স্বর্ণা ৫৫ টাকা এবং আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা দরে।

