
আমির হোসেন
দীর্ঘ ১৭ বছর পলাতক থাকার পর অবশেষে গ্রেপ্তার হলেন একটি সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আমির হোসেন (৩৭)।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান র্যাব ১১-এর সিনিয়র এএসপি মো. রিজওয়ান সাঈদ জিকু।
২০০৪ সালে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ১৩ বছরের এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হন আসামি আমির হোসেন।
এদিন (২৫ মে) দুপুরে ফতুল্লা থানার উত্তর হাজীগঞ্জ এলাকা থেকে আকতার হোসেনের ছেলে আমির হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধানের বরাত দিয়ে র্যাব জানায়, আসামি আমির হোসেন নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার ইস্পাহানি এলাকার বাসিন্দা। ভিকটিম (১৩) একজন গার্মেন্টস কর্মী। গত ২০০৪ সালের ১০ এপ্রিল রাতে ভিকটিম তার কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে ফতুল্লা থানার কাইয়ুমপুরের রহমান গার্মেন্টসের সামনে রাস্তায় পৌঁছালে আসামি আমির হোসেন তার সহযোগীদের সাহায্যে ভিকটিমের পথরোধ করে মুখ চেপে ধরেন এবং হাত-পা বেঁধে পাশের পিটালিপুল রহমান ডাইংয়ের পূর্ব পাশে আসামির ভাড়া করা মেছে নিয়ে যান। একপর্যায়ে ভিকটিমকে আসামি আমির হোসেনসহ তার সহযোগীরা মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। অতঃপর আমির হোসেন ও সঙ্গীয় এজাহারনামীয় পলাতক আসামিরা ভিকটিমকে ঘটনার কথা প্রকাশ না করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি দেখান এবং হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।
পরে এ ঘটনায় ভিকটিমের বোন বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলা করেন। তবে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত চক্রের হোতা আমির হোসেনসহ সঙ্গীয় আসামিরা কৌশলে আত্মগোপনে থাকেন।
গত ২৩ মে আদালত আসামি আমির হোসেনসহ সঙ্গীয় আসামিদের দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন।
এদিকে, পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আসামি আমির হোসেনকে বন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানায় র্যাব-১১।