শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫

|

চৈত্র ৩১ ১৪৩২

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

১০ দিনেই ফাঁকা সোনারগাঁওয়ের লিচুবাগান

শাকিল আহমেদ

প্রকাশিত: ১৬:২৯, ১৫ মে ২০২৫

আপডেট: ১৭:১২, ১৫ মে ২০২৫

১০ দিনেই ফাঁকা সোনারগাঁওয়ের লিচুবাগান

ফাইল ছবি

ছোট-বড় সবার কাছেই একটি পছন্দের ফল লিচু। এরই মধ্যে বাজারে উঠতে শুরু করেছে রসালো, সুমিষ্ট ও মুখরোচক এই ফল।

বাজারে এখন যেসব লিচু পাওয়া যাচ্ছে, তার বেশিরভাগই আসছে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থেকে। বাজারে সবার আগে আসে বলে এই এলাকার লিচুর চাহিদাও রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর সোনারগাঁওয়ে লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে। ঝড়বৃষ্টি না থাকায় বাগানগুলো ভরে উঠেছে লিচুতে। তবে গত ১০ দিনে খালি হয়ে গেছে লিচুর বাগানগুলো। বিক্রি হয়ে গেছে বেশিরভাগ বাগানের লিচু। এতে খুঁশি বিক্রেতারা।

বুধবার (১৪ মে) সোনারগাঁওয়ের বিভিন্ন বাগান ঘুরে দেখা যায়, হাতেগোনা দুই-একটি বাগান ছাড়া বেশিরভাগ লিচুর বাগানই ফাঁকা। অনেকে লিচু কিনতে এসে ফিরে যাচ্ছেন খালি হাতে।

স্থানীয় ও বাগান মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চলতি মাসের ২ তারিখ থেকে সোনারগাঁওয়ের লিচুবাগান থেকে লিচু বিক্রি শুরু হয়েছে। গত ১০ দিনে বিক্রি হয়ে গেছে অধিকাংশ বাগানের লিচু।



পূর্বাচল থেকে লিচু কিনতে সোনারগাঁওয়ে আসা ব্যবসায়ী কামাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমি একজন ব্যবসায়ী। ছেলে মেয়েদের নিয়ে লিচুবাগান দেখব এবং লিচু কিনব, এই উদ্দেশ্যে এখানে এসেছিলাম। কিন্তু এসে দেখি সবগুলো বাগান একেবারেই ফাঁকা। অনেক বাগান ঘুরে মাত্র একটি বাগানে লিচু দেখতে পেলাম। এখান থেকে ১০০ লিচু কিনলাম এবং ছেলে-মেয়েদের নিয়ে লিচু বাগানে কিছু ছবি তুললাম।

তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার লিচুর দাম বেশি বলে অভিযোগ করেন কামাল হোসেন। তিনি বলেন, ভেবেছিলাম বাগান থেকে লিচু কম দামে কেনা যাবে। কিন্তু এখানে এসে দেখি লিচুর দাম অনেকটাই বেশি। যে লিচু ঢাকাতে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় কেনা যায়, সেই লিচু এখান থেকে কিনলাম ৭৫০ টাকা দিয়ে।

একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় (এনজিও) কাজ করেন রাহাত মিয়া। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, প্রতি বছর এখান থেকে লিচু কিনতে আসি। গত সপ্তাহে এসে এখান থেকে ৪০০ লিচু কিনেছিলাম ৫৫০ টাকা দরে। কিন্তু আজকে এসে দেখি সব বাগান খালি। কোথাও লিচু নেই। শুধু একটি বাগানে লিচু পেলাম। ১০০ লিচু কিনলাম ৭৫০ টাকা দিয়ে।

ঝড়বৃষ্টি না থাকায় এ বছর লিচুর ভালো ফলন হয়েছে বলে জানান বাগান মালিক পারভিন বেগম। তিনি বলেন, আমার বাগানে মোট ৯টি গাছ রয়েছে। এ বছর ঝড়বৃষ্টি না থাকায় ভালো ফলন পেয়েছি। নয়টি গাছ থেকে প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার লিচু হয়েছে। প্রথমদিকে এই লিচুগুলো আমরা ৫৫০ টাকা দরে প্রতি শ’ বিক্রি করেছি। কিন্তু এখন শেষ পর্যায়ে হওয়ায় ৭৫০ টাকা দরে বিক্রি করছি।

প্রতি বছরের মতো এবারও চড়ামূল্যে লিচু কিনেছেন মৌসুমি লিচু ব্যবসায়ীরা। এখানকার লিচুর কদর থাকায় বেশি লাভের আশায় আধাপাকা লিচু কিনে বাজারে বিক্রি করেছেন তারা।