
ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের সাদিপুর ইউনিয়নের বরাব এলাকায় মাহমুদা আক্তার নামের এক অন্তঃস্বত্তা নারীকে পিটিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এসময় ওই নারীকে শ্লীলতাহানী করা হয় বলে অভিযোগ তোলা হয়। আহত ওই নারী সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় গতকাল রোববার সকালে সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা বিচার সালিসের দায়িত্ব নিলেও বিচার না পেয়ে তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
জানা যায়, উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের বরাব এলাকার বিএনপি কর্মী হানিফ মিয়ার সঙ্গে পার্শ্ববর্তী মুক্তিযোদ্ধা চাঁন মিয়ার ছেলে মো. মিলন মিয়ার সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত দ্বদ্ধ চলছিল। গত বৃহস্পতিবার রাতে হানিফ মিয়ার মুদি দোকানে চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিলন মিয়ার ছেলে রিয়াদ ও ভাগিনা রাহাতকে দোষারোপ করে। এ ঘটনায় সিসিটিভি পর্যাবেক্ষণ করে প্রমাণ না পাওয়ায় তাদের মধ্যে বাগবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে হানিফ মিয়ার নেতৃত্বে ইমরান, স¤্রাটসহ ১০-১২জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মিলন মিয়ার চাচাতো বোন মাহমুদা আক্তারের বাড়িতে হামলা করে। এসময় বাড়িতে কোন পুরুষ না পেয়ে অন্তঃসত্ত¡া মাহমুদা আক্তারকে পিটিয়ে জখম করে। এক পর্যায়ে তার শরীরের জামা কাপড় ছিড়ে শ্লীলতাহানী করে। আহত মাহমুদা আক্তারকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় স্থানীয়রা বিচার শালিসের দায়িত্ব নিয়ে ঘড়িমসি করায় গতকাল রোববার সকালে সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
আহত নারীর স্বামী ইমরান হাসান পাভেল জানান, তার স্ত্রী দু’মাসের অন্তঃসত্ত¡া। ভাইয়ের সঙ্গে বিরোধকে কেন্দ্র করে তার স্ত্রী ওপর হামলা করে প্রতিপক্ষের লোকজন। তার স্ত্রীর অবস্থা আশংঙ্কাজনক হওয়ায় তার স্ত্রী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ হামলার তিনি বিচার দাবি করেন।
অভিযুক্ত বিএনপি কর্মী হানিফ মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ওই নারীকে তারা মারধর করেনি। মোবাইলে লাইভ করছিল, তা কেটে দিতে গিয়ে জোর জবরধস্তি হয়েছে।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক(তদন্ত) মো. রাশেদুল হাসান খান বলেন, অন্তঃস্বত্তা নারীকে মারধর করার ঘটনায় অভিযোগ গ্রহন করা হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।