
ফাইল ছবি
বন্দরে মাদ্রাসা ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় এক শিক্ষককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। এ ঘটনাকে পুঁজি করে প্রিন্সিপালকে ফাঁড়িতে ডেকে এনে আটক রাখার বিষয়ে জানাতে চাওয়ায় দারোগার সামনে সাংবাদিকের ওপর হামলা চালায় সোর্স আক্তার। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের ভেতরে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহত নূরুজ্জামান মোল্লা দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার বন্দর প্রতিনিধি।
সাংবাদিক নূরুজ্জামান মোল্লা জানান, উপজেলার ধামগড় ইউপির কামতাল ডাক সমাজ কবরস্থান হাফেজিয়া মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার সকালে শিক্ষক হাফেজ ফুসাইন আহাম্মেদ মাহফুজ (২৪)কে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে উত্তেজিত এলাকাবাসী।
পরবর্তীতে কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের এসআই জহিরুল ইসলাম ওই মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আব্দুস ছাত্তারকে ডেকে নিয়ে একটি কক্ষে আটক করে রাখে। প্রিন্সিপাল মামলার আসামি না হওয়ায়তাকে আটক করে রাখার বিষয়টি ভিকটিম ছাত্রীর দাদা নূরুল হক সাংবাদিকদের ফোন করে জানালে কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের গিয়ে প্রিন্সিপাল আটকের বিষয়ে এসআই জহিরুল ইসলামের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয়। এসময় পুলিশের সোর্স আক্তার ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে বলে ছাত্তার মাওলানা বিষয়টি শেষ করে দেওয়া হয়েছে । এক পর্যায়ে এসআই জহিরুলের কক্ষে এবং তার সামনে এলোপাতাড়ি কিলঘুষিতে মূখে রক্তাক্ত জখম হয়। এখবর পেয়ে স্বজনরা আমাকে উদ্ধার করে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন।
প্রিন্সিপাল মাওলানা আব্দুস ছাত্তার জানান, মঙ্গলবার সহকারি শিক্ষক হাফেজ ফুসাইন আহাম্মেদ মাহফুজকে নিয়োগ দেওয়া হয়। ছাত্রীকে যৌন হয়রানির ঘটনাটি মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষকে অবগত না করে মাদ্রাসা থেকে ধরে নিয়ে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। পরে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়ার পর এএসপি সার্কেল তাকে থানা নিয়ে যায়। পরে আমাকে দারোগা জহিরুল ইসলাম একটি কক্ষে আটক করে রাখে। দীর্ঘক্ষণ বসে থাকায় আমি অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে পড়ে গেলে স্বজনরা এসে আমাকে নিয়ে ডাক্তার কাছে নিয়ে যায়।
তদন্ত কেন্দ্রের ভেতরে সাংবাদিক নূরুজ্জামান মোল্লার ওপর হামলার ঘটনা স্বীকার করে কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর সাহাদাত হোসেন বলেন, আমি ছুটিতে ছিলাম। উর্ধ্বতন স্যারদের অবগত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি লিয়াকত আলী বলেন, পুলিশের উপস্থিতিতে সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।