প্রতীকী ছবি
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে কব্জি কেটে চোখ উপড়ে ফেলে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে এক যুবককে।
উপজেলার পূর্বাচল উপশহর এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত যুবকের লাশের পরিচয় মিলেছে। তার নাম সোহেল মিয়া (৩৫)। তিনি কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানার ঝগড়ারচর এলাকার আব্দুল লতিফ মিয়ার ছেলে।
এর আগে গত (২৮ ডিসেম্বর) বুধবার দুপুরে পূর্বাচল উপশহরের সাত নম্বর সেক্টরের ২১৯ নাম্বার রোডের ৪ নম্বর প্লটের সামনে ড্রেন থেকে অন্তত ওই যুবকের অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার করে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ।
এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত সোহেল মিয়ার ভাই জামাল মিয়া বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় নিহত সোহেলের সমন্ধি নবী হোসেন ও নবী হোসেনের বন্ধু আলামিনকে আসামি করা হয়।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নুরুন্নবী নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রূপগঞ্জ থানার ওসি/ তদন্ত আতাউর রহমান।
মামলার বাদী জামাল মিয়া জানান, গত প্রায় পাঁচ বছর আগে তার ভাই সোহেল মিয়া রূপগঞ্জ উপজেলার রূপসী এলাকার শহিদুল্লাহর মেয়ে সাইদাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর মরিয়ম নামের তিন বছর বয়সের একজন কন্যা সন্তান হয়। বর্তমানে কর্মজীবনের তাগিদে সাহিদা বিদেশে রয়েছেন। আর কন্যা সন্তানটি তার দাদার কাছে লালিত-পালিত হচ্ছে। আর সোহেল মিয়া নোয়াপাড়া এলাকার দায়েন মিয়ার বাড়িতে ভাড়া বসবাস করে স্থানীয় একটি কারখানায় চাকুরি করে আসছিলেন।
গত ২২ ডিসেম্বর থেকে সোহেল মিয়া নিখোঁজ হন। ২৩ ডিসেম্বর বাড়িতে না ফিরে আশায় নিখোঁজের বিষয়টি পরিবারের লোকজন নিশ্চিত হন।
এরপর গত ২৮ ডিসেম্বর বুধবার দুপুরে পূর্বাচল উপশহর এর ৭ নম্বর সেক্টর এলাকা থেকে অন্তত এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ এমন খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন সেখানে গিয়ে এই লাশটি তার ভাই সোহেলের লাশ বলে সনাক্ত করেন।
লাশের বাম হাতের কব্জিকাটা, আঙ্গুল কাটা ও চোখ উপড়ানো অবস্থায় পাওয়া যায়।
বেশ কিছুদিন ধরেই ভাই সোহেলের সঙ্গে পাওনা টাকা নিয়ে সমন্ধি নবী হোসেন, নবী হোসেনের বন্ধু ও আলামিনের বিরোধ চলে আসছিল। আর ওই বিরোধের জের ধরেই আসামিরা সোহেল মিয়াকে বাম হাতের কব্জি কেটে, আঙ্গুল কেটে, কুপিয়ে ও চোখ উপড়ে ফেলে হত্যার পর গুম করার উদ্দেশ্যে ওই স্থানে লাশ ফেলে রাখে। সবকিছু নিশ্চিত হয়ে জামাল মিয়া এ হত্যা মামলাটি দায়ের করেন।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এএফএম শায়েদ বলেন, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকা সন্দেহে নুরুন্নবী নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের দ্রুত বের করে আইনের আওতায় আনবো।