আনোয়ার হোসেন
নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেছেন, আজকে আমি আপনাদের অনুরোধ করছি, একসময় যারা বলেছিল এক নেতা এক দেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ। পঁচাত্তরের পনেরো আগষ্টের পর তাদের কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ঠিক একই অবস্থা হয়েছে আজ। হাউব্রিড কাউয়্যা সব আজ আওয়ামী লীগ করি। সে লোকগুলো আমাদের বাধা দিবে। আমরা যদি তাদের চিহ্নিত করতে না পারি তাহলে কেন্দ্রীয় নেতারাও পারবে না। তৃণমূলের কারনেই আওয়ামী লীগ টিকে আছে। আপনাদের কারনেই আজ আমি আওয়ামী লীগের প্রেসিডেন্ট। তাই আপনাদের দায়িত্ব অনেক বেশি। বিএনপি থেকে আনা নেতাদের দরকার নেই। আওয়ামী লীগের কর্মীরাই যথেষ্ট।
বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে মহানগর আওয়ামীলীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আপনারা এলাকায় এলাকায় খেয়াল রাখবেন বিএনপি জামাত থেকে হাইব্রিড কাউয়্যারা যেন আওয়ামী লীগে ঢুকতে না পারে। তাহলে কিন্তু আপনাদের খবর আছে। একসময় আপনাদের দূরে সরিয়ে তারা আমাদের কাছে চলে আসবে।
আজ জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগ এক হয়ে গেছে নারায়ণগঞ্জে দাবি করে তিনি বলেন, আমরা চাই জাতীয় পার্টি জাতীয় পার্টিই করুক আর আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগই করুক। নারায়ণগঞ্জের মাটিতে আওয়ামী লীগের জন্ম। এখানে আজ সংগঠনের স্বার্থে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দেয়া দরকার। আমরা দাবী করব এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দরকার। যারা সুবিধাবাদী তারা সুবিধা নেন। কিন্তু আওয়ামী লীগে এসে বিরক্ত করবেন না।
তিনি আরো বলেন, আমি বার বার বলি আজ ঐক্যবদ্ধ সংগঠনের কোন বিকল্প নাই। নেতৃত্বের প্রতিযোগীতা থাকতে পারে। নেত্রী যাকে মনোনয়ন দিয়েছেন আমরা তাকেই নির্বাচিত করব। আমরা কাজ করেছি সেকারণেই দল আজ ক্ষমতায়। আজ বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কর্মীরা পরিশ্রম করছে। আগামীদিনে তারা নেতৃত্বে আসুক এটাই আমার কামনা।
আওয়ামীলীগের সভাপতি বলেন, পঁচাত্তরে জাতির পিতাকে যখন হত্যা করা হয় আমি তখন তোলারাম কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের জন্ম আমরা কিছু করবো না সেটা হতে পারে না। আমরা সেদিন গুটি কয়েক ছাত্রনেতা মাঠে নেমেছিলাম। সেদিন মিছিল করেছিলাম৷ সেই প্রতিবাদ করতে গিয়ে দীর্ঘদিন কারাভোগ করেছিলাম। তারপর আমার মনে একটা শান্তি বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদে মিছিল করতে পেরেছিলাম। এটাই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।
তিনি বলেন, নেত্রী বলেছেন ভাড়া করা নেতৃত্বে প্রয়োজন নেই। মতবিরোধ থাকতে পারে, জাপা-আ'লীগ আলাদা রাজনীতি করুক। আ'লীগের নৌকা মার্কার প্রার্থী অনেক আছে। আমরা আলাদা কর্মসূচি হয়তো করেছিলাম আজকের পর থেকে আমরা সবাই এক হয়ে কর্মসূচি পালন করবো।
এসময় মহানগর আওয়ামীলীগের সভায় উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি চন্দন শীল, শেখ হায়দার আলী পুতুল, নুরুল ইসলাম চৌধুরী, মাসুদুর রহমান খসরু, রবিউল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব, জি এম আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদা মালা, জি এম আরাফাত, দপ্তর সম্পাদক বিদ্যুৎ সাহা, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রশিদ প্রমুখ