
ফাইল ছবি
বন্দরের মুছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে মাকসুদ হোসেন ও তার পরিবারের সদস্যদের সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রভাব বিস্তার করার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও প্রতিদ্ব›দ্ধী ঘোড়া প্রতিকের প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্প নির্মাণে বাধা, কর্মীদের মারধর সহ প্রাননাশের হুমকি প্রদানের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মুছাপুর ইউনিয়নের উপনির্বাচনে ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আলী হোসেন বাদী হয়ে শনিবার বিকেলে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে মুছাপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার মোহাম্মদ মাহাবুব সহ তিন জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো ২০/২৫জনকে আসামী করা হয়েছে।
অভিযুক্ত বাকিরা হলো বারপাড়া মোমরাজ মিয়ার ছেলে তালেব ও একই এলাকার মিজানুর রহমান ওরফে লেবার ছেলে বনি।
আলী হোসেন অভিযোগে উল্লেখ করেন, শনিবার সকাল ১০টায় চর ইসলামপুর নুরুইসলাম মেম্বারের বাড়ির পাশে নুরুল হাজীর দোকানের সামনে নির্বাচনী ক্যাম্প করা কালীন উল্লেখিত আসামীরা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তার কর্মীদের অকথ্য গালাগাল সহ এলাপাথারী মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে। তখন তাদের আত্মচিকৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা ক্যাম্প ভাংচুর করে পুনরায় ক্যাম্প স্থাপনের চেষ্টা করা হলে কর্মীদের খুন-জখম করে লাশ গুম করে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যায়।
চেয়ারম্যান প্রার্থী আলী হোসেন সাংবাদিকদের আরো জানান, মাকসুদ হোসেন উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান হয়েও বিভিন্ন মসজিদে মসজিদে গিয়ে ছেলে শুভর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারনা করছেন, মানুষের কাছে ভোট চাইছেন। নামাজ শেষে মসজিদের গেইট আটকে দিয়ে উপস্থিত সকলের মোবাইল ফোন বন্ধ করিয়ে দিয়ে বৈঠক করছেন। এসব ঘটনা নির্বাচনের আচরন বিধি লঙ্গন সহ নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করা হচ্ছে বলে আমি মনে করি। তিনি এ ব্যাপারে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
অভিযোগ দায়েরর বিষয়টি নিশ্চিত করে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে আমরা বিষয়টি তদন্তের জন্য দায়িত্ব দিয়েছি।