
প্রতীকী ছবি
নারায়ণগঞ্জে সাম্প্রতিক সময়ে ঘরে ঘরে জ্বরের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে প্রতিদিন বাড়ছে জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। চিকিৎসকদের মতে, মৌসুমী ভাইরাস জনিত জ্বরের পাশাপাশি ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার সংক্রমণও বেড়েছে।
জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, চলতি সপ্তাহে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা আগের তুলনায় বেশি হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি অনেক রোগী চিকুনগুনিয়াতেও আক্রান্ত হচ্ছেন। ভাইরাসজনিত রোগের লক্ষণ প্রায় একই—উচ্চ জ্বর, মাথাব্যথা, জয়েন্টে ব্যথা, শরীর ব্যথা ও র্যাশ। ফলে প্রাথমিকভাবে রোগ নির্ণয়ে বিলম্ব হচ্ছে।
চিকিৎসকরা সতর্ক করে বলছেন, জ্বর হলে অবহেলা না করে দ্রুত পরীক্ষা করানো জরুরি। বিশেষ করে মাথা ঘোরা, শ্বাসকষ্ট, অতিরিক্ত রক্তপাত বা ডায়রিয়ার মতো উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত হাসপাতালে যেতে হবে। পাশাপাশি মশা নিয়ন্ত্রণ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার ওপর জোর দিয়েছেন তারা।
এদিকে বৃষ্টির মৌসুমে অযত্নে ফেলে রাখা পানি ও ড্রেনের জমে থাকা পানি এডিস মশার প্রজননের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করছে। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে নিজের বাড়ি ও আশপাশ পরিষ্কার রাখার জন্য প্রচারণা চালিয়েছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জনগণকে জ্বরের প্রকোপ থেকে বাঁচতে নিয়মিত মশা নিধনের ওষুধ ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসনকে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষদের সচেতন হওশা, লম্বা হাতার কাপড় পরা এবং মশারি ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।