বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

|

বৈশাখ ১১ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

কাঁচপুরে চাঁদা না পেয়ে ব্যবসায়ীর বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাট

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১৭:৫৮, ২৮ মার্চ ২০২৩

কাঁচপুরে চাঁদা না পেয়ে ব্যবসায়ীর বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাট

প্রতীকী ছবি

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর ইউনিয়নের পূর্ব বেহাকৈর এলাকায় চাঁদা না পেয়ে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এতে মহিলাসহ ৫জনকে পিটিয়ে আহত করে হামলাকারীরা। 

বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ব্যবসায়ী হুমায়ুন আহম্মেদ বাদী হয়ে পরদিন শুক্রবার বিকেলে সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার ৪ দিন পার হলেও পুলিশ তদন্তে যায়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে ওই এলাকায় ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোন সময় আবারো হামলার ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। 

সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের পূর্ব বেহাকৈর গ্রামের বালু ব্যবসায়ী হুমায়ুন আহাম্মেদ তার জমিতে বালু ভরাটের কাজ করছেন। র‌্যাব ও পুলিশের তালিকাভূক্ত শীর্ষ  চাঁদাবাজ কাঁচপুর এলাকার মোমেন ওরফে টাইগার মোমেনের লোকজন তার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় টাইগার মোমেনের নেতৃত্বে সুমন মিয়া, সুবহান মিয়া, সালু মিয়া, মজিবুর রহমানসহ ৮-১০ জনের একদল বাহিনী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ব্যবসায়ী হুমায়ুন আহাম্মেদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। এসময় বাধা দেওয়ায় হুমায়ুন আহাম্মেদের স্ত্রী মুক্তা আক্তার, ভাবি শিউলী বেগম, ভাতিজা জুনাইদ, আনাস ও মোহাম্মদকে পিটিয়ে আহত করে। পরে আশপাশের লোকজন আহতদের উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

ব্যবসায়ী হুমায়ুন আহাম্মেদ বলেন, চাঁদার টাকা না দেওয়ায় মোমেন ও তার লোকজন আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে লুটপাট করে। বাধা দেওয়া আমার পরিবারের ৫ জনকে পিটিয়ে আহত করে। ঘটনার ৪দিন পার হলেও পুলিশ তদন্তে আসেননি। 

অপরদিকে অভিযুক্ত মোমেন মিয়া বলেন, জমি নিয়ে বিরোধ থাকায় আমার লোকজনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়েছে। হামলার ঘটনার সঙ্গে তিনি জড়িত নন বলে দাবি করেন। 

সোনারগাঁ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আনিসুর রহমান বলেন, অনেকগুলো অভিযোগের তদন্ত থাকায় সেখানে যাওয়া সম্ভব হয়নি। বুধবার সকালে তদন্তে ঘটনাস্থলে যাওয়া হবে।  

সোনারগাঁ থানার ওসি মাহাবুব আলম বলেনন, হামলার অভিযোগ নেওয়া হয়েছে। বিষয়টির তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন তদন্তে ব্যস্ত থাকায় তদন্তে যাওয়া হয়নি। তবে তদন্ত শেষে দোষী প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।