শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

|

বৈশাখ ৬ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

‘এক কেজি পাঙ্গাশ কিনেছি সাহস করে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১৮:৩৫, ১৩ আগস্ট ২০২২

‘এক কেজি পাঙ্গাশ কিনেছি সাহস করে’

মাছ বাজার

সপ্তাহে দুইদিন মাছ খেতাম। দুইদিন ব্রয়লার। এখন মুরগির দাম বেড়েছে দেখে মাছ বাজারে এলাম। মাছের দাম আরও বেশি। এক কেজি পাঙ্গাশ কিনেছি সাহস করে। মাছ খেলে আর সংসার চালাতে পারব না।

শহরের দ্বিগুবাবুর বাজারে মাছ কিনতে এসে কথাগুলো বলেন রিকশাচালক ইদ্রিস আলী। 

এদিকে শহরের বাজারগুলোতে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাবে ব্রয়লার মুরগির অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি আর ডিমের রেকর্ডের পর এবার মাছের বাজারও চওড়া দেখা গেছে।

বিক্রেতারা বলছেন একই কথা। বেড়েছে পরিবহণ খরচ। ক্রেতারা বলছেন নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে দাম। তবে দ্রুতই স্বাভাবিক হচ্ছে না মূল্যবৃদ্ধি।

শনিবার (১৩ আগস্ট) নারায়ণগঞ্জের মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৪৫০ টাকা। তেলাপিয়া, পাঙাস মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৯০ টাকা। শিং মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪৬০ টাকা। কৈ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। পাবদা মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এসব মাছের দামে কেজিতে ১০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

পাশাপাশি দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে ইলিশও। এক কেজি ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০০ থেকে ১৮০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা। ৭০০-৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে এক হাজার টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা। আর ৪০০-৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা।

আর চিংড়ি মাছ মাঝারি সাইজের প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০০ টাকায়, প্রমাণ সাইজের চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ১৬০০-১৮০০ টাকা কেজি দরে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির পর এর প্রভাব পড়েছে বাজারে। অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মাছের দামও।

মাছ ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদিন বলেন, মাছ বেচে আমরা বাজার-সদাই কিনে খাই। শুধু তো মাছ খেয়ে থাকি না। অন্য জিনিসের দাম যেহেতু বেড়েছে, স্বভাবতই মাছেরও দাম বেড়েছে।

আরকে ব্যবসায়ী নাসিরুল ইসলামও বললেন একই কথা। তিনি বলেন, সবকিছুরই দাম বাড়ছে। আমরা তো আর তার বাইরে না।

ক্রেতারা বলছেন, জ্বালানির দাম তো আমরা বাড়াইনি। কিন্তু মূল্যবৃদ্ধির খড়গ আমাদের ওপরই পড়েছে। আমাদের নাভিশ্বাস উঠছে। পরিকল্পনা আছে ঢাকা থেকে চলে যাওয়ার। গ্রামে তো অন্তত শাক, লতা-পাতা খেয়ে বাঁচতে পারব।

রাশেদা খাতুন নামে এক নারী বলেন, আমি একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী। পেনশনের কয়েক টাকায় সংসার চলে। আমার স্বামী মারা গেছেন। বাজারে মাছের যা দাম, শুধু শাক-সবজি কিনেই বের হয়ে গেছি।