
প্রতীকী ছবি
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে হামলার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীদের দাবি, জমিসহ বাড়ি কিনতে না পেরে এক ব্যবসায়ী এ হামলা চালিয়েছে। এতে নারীসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে বাড়িঘর ও প্রাইভেটকার।
সোমবার রাত ১১টার দিকে ফতুল্লার মাসদাইর এলাকায় অবস্থিত জেলা পুলিশ লাইনের বিপরীত পাশে ব্যবসায়ী আবু শাহাদাৎ লিটনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী লিটন জানান, দীর্ঘদিন ধরে জেলা পুলিশ লাইনের বিপরীত পাশে জমি কিনে বাড়ি করে থাকছেন তারা। তাদের বাড়ির পাশে জমি ক্রয় করেন ব্যবসায়ী শাহীন ইব্রাহিম। তার জমিতে গাড়ির গ্যারেজ ভাড়া দেওয়া। উভয়ের জমির সামনে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়ক।
বছর দুয়েক আগে শাহীন লিটনের জমিটি কেনার প্রস্তাব দেন। তবে প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করেন লিটন। ওই সময় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী দিয়ে হুমকি ও হামলা চালিয়ে ব্যর্থ হন শাহীন। বর্তমানে জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনিকে দিয়ে বাড়িটি দখলের চেষ্টায় রয়েছেন তিনি। বিক্রি করতে না চাওয়ায় সোমবার রাতে শাহীনের নির্দেশে লিটনের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। এ সময় তারা শাহীনের পরিবারের সদস্য ও নৈশপ্রহরীকে মারধর করে। ভাঙচুর করে লিটনের প্রাইভেটকারসহ বাসার গেট, দরজা ও জানালায়। পরে হামলাকারীরা চলে গেলে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে শহরের খানপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
লিটন বলেন, ‘তারা যখন হামলা চালিয়েছেন তখন আমার পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে ছিলেন। বিকট শব্দ ও হৈহুল্লোড়ে আমাদের ঘুম ভাঙে। প্রথমে ভেবেছিলাম বাসায় ডাকাত আক্রমণ করেছে। এরপর বাসার বারান্দা দিয়ে দেখি রনির দলবল নিয়ে বাসার গেট খুলতে বলছে। তখন থানায় ফোন করে বাসার নিচে নেমে তাদের শান্ত করার চেষ্টা করি। তারা আমাদের কোনো কথা না শুনে মারধর করতে থাকেন। আমাদের পরিবারের যারাই আসছে তাদেরই মারধর করেছেন। যখন পুলিশ আসছে তখন তারা আমাদের বাড়ির অদূরে বিএনপির অফিসে গিয়ে ভাঙচুর চালায়। এ ঘটনায় আমি থানায় মামলা করব।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে শাহীনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। জেলা যুবদলের সদস্য সচিব রনি বলেন, ‘লিটনের অভিযোগ মিথ্যা। একই এলাকায় বসবাসের কারণে শাহীনের সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক। তাদের সঙ্গে রাতে কি নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে তা আমার জানা নেই। তবে জমি নিয়ে লিটন ও শাহীনের বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে অনেক বার বিচার শালিস হয়েছে। তবে কোনো সমাধান হয়নি।’
ফতুল্লার মডেল থানার ওসি শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। হামলার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে।’