
ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে পুরস্কার ঘোষিত মাদক সম্্রাট স্থানীয় ইউপি সদস্যে, আওয়ামীলীগ নেতা সোহেল মিয়া (৩৫) ও তার সহযোগির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগ তাদের বসতবাড়িতে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের কদমদী, বালিয়াপাড়া ও উতরাপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, সোহেল মিয়া ওরফে ফেন্সি সোহেল ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ায় আওয়ামীলীগের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে গত ইউপি নির্বাচনে সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে। মাদক ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে গিয়ে তার অপরাধজগতের সাম্্রাজ্য বাড়িয়ে দেন। পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। মাদক সম্্রাট সাথে সে শীর্ষ সন্ত্রাসীতে পরিণত হয়। তার পুরো পরিবার মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জন্য প্রতিনিয়ত প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়ে থাকে সোহেলের সন্ত্রাসী বাহিনী।
তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার যারা বিরোধিতা করে তাদেরকে সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করতো। গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরও সন্তাসী কাযক্রলাম অব্যাহত রাখে।
গত শনিবার রাতে ওই ইউনিয়নের ভাটি গোবিন্দি এলাকায় ময়লা পানি ব্রহ্মপুত্র নদে নিষ্কাশনের জন্য নির্মানাধীন পাইপ লাইনের জন্য সোহেল ও তার তার সহযোগি গোলাম রসুল গ্রামবাসীদের কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে। এতে স্থানীয়রা জড়ো হয়ে তাদের ধাওয়া দিয়ে সোহেল মেম্বার ও তার সহযোগিরা পালিয়ে যায়। পর দিন রোববার শতশত গ্রামবাসী দেশিয় অস্ত্রে সজ্জে সজ্জিত হয়ে সোহেল মেম্বারের কদমদী ও বালিয়াপাড়া বাড়িতে, তার সহযোগি গোলাম রসুলের উতরাপুরের বাড়িতে হামলা চালিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়।
আড়াইহাজার থানার ওসি খন্দকার নাসির উদ্দিন জানান, সোহেল ও তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে আড়াইহাজার থানাসহ বিভিন্ন থানায় মাদক, মারামারিসহ একাধিক মামলা রয়েছে।