
ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় পরকীয়া প্রেমে বাধা দেয়ায় জমি ব্যবসায়ী আব্দুর রশিদকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যারপর জোর করে দাফন করার অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রথম স্ত্রীর বড় ছেলে রুবেল হাওলাদার বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্টেট মহিন উদ্দিন কাদেরের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় আসামী করা হয়, নিহত আব্দুর রশিদের দ্বিতীয় স্ত্রী মোর্শেদা বেগম (৪২) তার দুই মেয়ে জাকিয়া সুলতানা (২১), মায়া আক্তার (৩৫) ও পরকীয়া প্রেমিক জাকারীয়া ভেন্ডার (৫৫) সহ অপ্সাত সন্ত্রাসী।
শনিবার বিকেলে মামলার আদেশ পেয়ে বাদী পক্ষের আইনজীবী সাইদুর রহমান সাব্বির জানান, মামলাটি আমলে নিয়ে নারায়ণগঞ্জ পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদনের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
তিনি আরো জানান, হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটেছে ২৮ আগষ্ট রাতে ফতুল্লার ভুইগড় মাহমুদপুর এলাকায় জমি ব্যবসায়ী আব্দুর রশিদের নিজ বাড়িতে। তিন তলা এ বাড়িটি দ্বিতীয় স্ত্রী মোর্শেদা বেগম ও মেয়ে জাকারিয়া সুলতানার নামে আগেই লিখে নিয়েছেন। এরপরই মোর্শেদার সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন জাকারীয়া ভেন্ডার।
তিনি জানান, মোর্শেদার আগের স্বামীর মেয়ে মায়া আক্তার প্রায় সময় আব্দুর রশিদকে বাড়ির জমি লিখে দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করতেন। আর মোর্শেদাকে নিজ ঘরেই পরকীয়া প্রেমিকের সাথে অন্তরঙ্গ সময় কাটাতে দেখতেন আব্দুর রশিদ। এ বিষয়ে প্রতিবাদ করলেই মোর্শেদা বেগম দুই মেয়েকে সাথে নিয়ে আব্দুর রশিদকে মারধর করতেন।
আইনজীবী জানান, হত্যাকান্ডের রাতে খুন হওয়ার আশঙ্কার কথা আব্দুর রশিদ নিজেই আশপাশের লোকজনদের কাছে জানিয়ে যায়। মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে প্রথম স্ত্রী ও সন্তানরা এসে আব্দুর রশিদের রক্তাক্ত লাশ দেখে পরিকল্পিত হত্যাকান্ডের বিষয়টি বুজতে পারেন। তখন তারা থানায় সংবাদ দিতে চাইলে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোর করে মাহমুদপুর কবরস্থানে লাশ দাফন করেন।
এবিষয়ে মোর্শেদা বেগম বলেন, জাকারীয়া ভেন্ডারের সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই। সে আমার স্বামীর সাথে ব্যবসা করতেন। তারা মামলায় যা উল্লেখ করেছেন তা সম্পূর্ন মিথ্যা বানোয়াট।