 
						প্রতীকী ছবি
নারায়ণগঞ্জে গলায় ইন্টারনেটের ক্যাবল দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যুর পর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত ওই যুবকের নাম মোঃ বেলাল হোসেন (২২)। সে নীলফামারী জেলার ডিমলা থানার উত্তর খড়িবাড়ি এলাকার মৃত আবুল কাশেম আলীর ছেলে।
সোমবার (৪ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক ইমরান সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলী নয়াপাড়া বড় মসজিদ এলাকা থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
সে তিন দিন আগে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে কদমতলী নয়াপাড়া বড় মসজিদ এলাকায় বড় বোন মিনারার ভাড়া বাসায় আসেন চাকরীর উদ্দেশ্যে। মাত্র তিন দিন আগে চাকরির উদ্দেশ্যে গ্রামের বাড়ি থেকে নারায়ণগঞ্জে বোনের বাড়িতে এসে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করার বিষয়টি রহস্যজনক বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
এদিকে নিহত বেলালের বড় বোন মিনারা জানান, তার ভাইয়ের পূর্ব থেকে মানসিক সমস্যা ছিলো। প্রায় সময়ই সে এলোমেলো চলাফেরা করতো। তবে সে যে এভাবে আত্মহত্যা করবে সেটা তাদের ধারণার মধ্যে ছিলো না। গ্রাম থেকে চাকরির জন্য তাকে নারায়ণগঞ্জে আনা হয়েছিল বলে জানান মিনারা।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় বেলালের লাশ পাওয়া গেছে হেলালের বাড়ির তিন তলার ছাদে। সেই বাড়ির পাশেই সামসুল হকের টিনশেড বাড়িতে ভাড়া থাকে বেলালের বড় বোন মিনারা। গত তিন দিন আগে বেলাল গ্রাম থেকে এসে বড় বোন মিনারার ভাড়া বাড়িতেই উঠে। তার জন্য আদমজী ইপিজেডে চাকরির চেষ্টাও করছিলো বলে জানান মিনারা। এদিকে হেলালের বাড়ির একটি সিসিটিভি ফুটেজ এসেছে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে। সেখানে দেখা যায় বেলা সাড়ে বারোটার দিকে বেলাল হেলালদের বাড়িতে প্রবেশ করে। এসময় তাকে সরাসরি সিড়ি বেয়ে তিন তলার ছাদের দিকে উঠতে দেখা যায়। পরে দুপুর একটার দিকে হেলালদের বাড়ির পাশের মসজিদে যখন নামাজের জন্য মুসুল্লিরা আসতে থাকে তখন ছাদে ইন্টারনেটের ক্যাবল পেচানো অবস্থায় বেলালকে ঝুলতে দেখতে পেয়ে খবর দেয়া হয়। তখন হেলাল সংবাদ পেয়ে দ্রুত থানায় ফোন করে। পরে বেলা আনুমানিক আড়াইটার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা থেকে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়া সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক ইমরান জানান, আমরা এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত বেলালের লাশ উদ্ধার করি। এসময় তার গলায় ইন্টারনেট ক্যাবল দিয়ে ফাঁস লাগানো ছিলো। প্রাথমিক অবস্থায় দেখে মনে হচ্ছে এটি আত্মহত্যা হতে পারে। তবু আমরা মৃত্যুর আসল কারণ উদঘাটনের জন্য লাশ ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করবো। শরীরের অন্য কোথাও কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায় নাই।


 
										 
										 
										 
										 
										 
										 
										