শনিবার, ১৭ মে ২০২৫

|

জ্যৈষ্ঠ ২ ১৪৩২

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

শেখ হাসিনা-সাবেক ৩ সিইসিসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলার আবেদন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১৪:৫৪, ১৬ মে ২০২৫

শেখ হাসিনা-সাবেক ৩ সিইসিসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলার আবেদন

প্রতীকী ছবি

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক ৩ প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলার আবেদন পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হায়দার আলীর আদালত এ আদেশ দেন। 

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক কাইউম খান এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ৮ মে বিগত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে জালিয়াতিপূর্ণ, ষড়যন্ত্রমূলক এবং ভোটার বিহীন দাবি করে এ মামলার আবেদন করা হয়। নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও ফতুল্লা থানা বিএনপির সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আবদুল বারী ভূঁইয়া বাদি হয়ে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হায়দার আলীর আদালতে মামলাটির আবেদন করেন। মামলায় বাদি পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ূন কবীর। তাকে সহায়তা করেন আরও কয়েকজন আইনজীবী। সেই সাথে আদালত আগামী ৩ জুন শুনানির দিন ধার্য্য করেন। 

অ্যাডভোকেট আব্দুল বারী ভূইয়া বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে জালিয়াতি করে বিনা ভোটের মাধ্যমে ২০১৪ সাল থেকে ২০২৪ সালে দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করে। অনিয়ম ও কারচুপির ওইসব নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার ছিল না এবং বাংলাদেশকে অন্য রাষ্ট্রের কাছে নতজানু রাষ্ট্রে পরিণত করতে ওইসব নির্বাচনের আয়োজন করে একটি পক্ষকে একতরফাভাবে জয়ী করার ব্যবস্থা করা হয়। যা রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল। আমি আদালতের কাছে অভিযুক্তদের দেশত্যাগের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা চেয়েছি। আদালত পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেয়ার পাশাপাশি অভিযুক্তরা যাতে দেশত্যাগ করতে না পারে সে নির্দেশনা দিয়েছেন।

মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সাবেক তথ্য উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও কামরুল ইসলাম, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক তথ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত, সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রাকিব উদ্দিন আহমেদ, কেএম নুরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আউয়াল এবং সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নী জেনারেল আশিক উল হককে আসামি করা হয়েছে। মামলায় সাক্ষী দেখানো হয়েছে ৯ জনকে।