
ফাইল ছবি
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারায়ণগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। এতে একটি ব্যাটারিচালিত গাড়িতে তাকে দেখা যায়। ওই ছবির সত্যতা আরটিভি এককভাবে নিশ্চিত হতে পারেনি। তবে ওই ছবি এবং শামীম ওসমানকে নিয়ে আলোচনা করেছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক গোলাম মাওলা রনি।
তার দাবি, ভাইরাল হওয়া ছবিটি আওয়ামী লীগ (বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ) নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের। এটি দুবাইয়ের কোনো একটি রিসোর্টে হবে বলে ধারণা করেছেন গোলাম মাওলা রনি। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর থেকে পলাতক শামীম ওসমান ও তার পরিবার। তার বিরুদ্ধে টাকা পাচারের অভিযোগ আছে।
ইতোমধ্যে তার নামে থাকা পূর্বাচলের প্লট ও উত্তরায় ৯ কাঠা জমি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে শামীম ওসমান ও তার পরিবারের নামে থাকা ২৯টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়েছে।
আসলে হাজার হাজার কোটি টাকা শামীম ওসমান নিয়েছেন কি না, সেটি রাষ্ট্রীয় তদন্ত সংস্থার বিষয় জানিয়ে গোলাম মাওলা রনি তার ইউটিউব চ্যানেলে বলেন, ‘শামীম ওসমান আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন, এটা আওয়ামী লীগের লোকজন খুব ভালো জানেন। তিনি অসাধারণ বক্তব্য দেন। নারায়ণগঞ্জে তার যথেষ্ট প্রভাব এবং প্রতিপত্তি ছিল এবং এখনো আছে।’
রাজনীতিতে শামীম ওসমান পরিবারের ইতিহাস ও ঐতিহ্য তুলে ধরে রনি বলেন, চার জেনারেশন ধরে কন্টিনিউয়াসলি একটা এলাকার বা একটা জেলার সম্পূর্ণ রাজনীতি তারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারতেন না। কিন্তু আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয়ভাবে তাকে (শামীম ওসমান) ওইভাবে মূল্যায়ন করেছে বলে আমাকে আমার কাছে মনে হয়নি। তিনি বারবার বলার চেষ্টা করেছেন যে শেখ হাসিনা তাকে মন্ত্রী হওয়ার জন্য বলেছেন, তিনি মন্ত্রী হননি। এটা বেসিক্যালি নিজেকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য। কিন্তু আওয়ামী লীগ আসলে তাকে মন্ত্রী বানায়নি।
শামীম ওসমানের ভাইরাল ছবিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখি হচ্ছে। অনেকে আলোচনা-সমালোচনা করছেন। এগুলো করতে গিয়ে সবাই মূলত আওয়ামী লীগের ব্র্যান্ডিং করছেন বলে মন্তব্য করেছেন গোলাম মাওলা রনি।
তিনি বলেন, ঢাকা শহরে আমরা যে শামীম ওসমানকে হিরো অব দ্য হিরো বানাচ্ছি। এটা বলে তো আসলে তাকে ব্র্যান্ডিং করছি। দ্বিতীয়ত আওয়ামী লীগের ব্র্যান্ডিং করছি। শামীম ওসমানের নাম এলেই আওয়ামী লীগের নাম আসবে।
রনি আরও বলেন, আমার কাছে যেটা মনে হচ্ছে যে এই সময়টিতে হঠাৎ করে যেভাবে শামীম ওসমান সামনে চলে আসছেন, হঠাৎ করে আওয়ামী লীগ যেভাবে সামনে চলে আসছে। একটার পর একটা মিছিল হচ্ছে, ডাকসু নির্বাচনে শামীম ওসমান ওটা বলেছেন, ঢাকার অমুক জায়গাতে শামীম ওসমান মিছিল করেছেন—এই কথাগুলো বলে মূলত আওয়ামী লীগের ব্র্যান্ডিং আমরা করার চেষ্টা করছি। আমরা চেষ্টা না করলেও ব্র্যান্ডিংগুলো হয়ে যাচ্ছে।