বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪

|

আশ্বিন ২৩ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

সালতামামি ২০২৩

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১১:৪৫, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩

আপডেট: ২৩:১৬, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলন

ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জে দীর্ঘ ১৪ বছর পর নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনের মাধ্যমে শীর্ষ নেতৃত্ব নির্বাচন ছিল ২০২৩ সালে আলোচিত ঘটনা।

শনিবার (১৭ জুন) সিদ্ধিরগঞ্জের হীরাঝিল আবাসিক এলাকার গিয়াস উদ্দিন ইসলামিক মডেল স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় সভাপতি ও গোলাম ফারুক খোকনের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা মাসুকুল ইসলাম রাজীব প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেয়ায় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন

সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে লন্ডন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সেদিন জেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে নানা দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন তিনি।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন। প্রধান বক্তা ছিলেন ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ।

এছাড়াও বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটু। এছাড়া জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব গোলাম ফারুক খোকনের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভুঁইয়া দিপু, আজহারুল ইসলাম মান্নানসহ প্রমুখ।

সম্মেলনকে ঘিরে জেলার ১০টি ইউনিটে কমিটির ১০১ জন করে কাউন্সিলর সম্মেলনে অংশ নেন। জেলা জুড়ে ১ হাজার ১০ জন কাউন্সিলর নেতৃত্ব নির্বাচন করতে সম্মেলনে আসেন। এছাড়াও বিভিন্ন ইউনিট ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ১৫০০ ডেলিগেট উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে শুধুমাত্র সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে বাকি ১৫১ সদস্যবিশিষ্ট জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে বলে জানায় নেতৃবৃন্দ।

এর আগে ২০০৩ সালে জেলা বিএনপি'র সভাপতি ছিলেন অধ্যাপক রেজাউল করিম ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তৈমূর আলম খন্দকার। ওয়ান ইলেভেনের সময় সংস্কারবাদী হিসেবে অধ্যাপক রেজাউল করিমের নাম আলোচনায় থাকায় ২০০৯ সালের ২৫ শে নভেম্বর শহরের আলী আহমেদ চুনকা পৌর মিলনায়তনে জেলা বিএনপি'র সর্বশেষ সম্মেলনে তাকে বাদ দেয়া হয়।

সর্বশেষ সম্মেলনে তৈমূর আলম খন্দকারকে সভাপতি ও কাজী মনিরুজ্জামানকে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি'র সাধরণ সম্পাদক করা হয়।

কিন্তু দীর্ঘ ৭ বছরেও তারা পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পারেননি। এর ফলে ২০১৭ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী মনিরুজ্জামানকে সভাপতি ও জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে সাধারণ সম্পাদক করে নতুন জেলা কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় বিএনপি।

পূর্ণাঙ্গ কমিটি আলোর মুখ না দেখায় সাড়ে ৩ বছর পর জেলা কমিটি ভেঙে দিয়ে ২০২০ সালের ৩১শে ডিসেম্বর কেন্দ্র থেকে পুনরায় এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারকে আহ্বায়ক ও অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে সদস্য সচিব করে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ৪১ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে দেয়া হয়েছিল।

নির্দেশনা ছিল ৩ মাসের মধ্যে থানা,উপজেলা, ইউনিয়ন পর্যায়ের কমিটি গঠন করতে হবে। কিন্তু নির্ধারিত সময় পার হলেও এই আহ্বায়ক কমিটি সবগুলো ইউনিট কমিটি গঠনের কাজ শেষ করতে পারেনি। এরমধ্যে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তের বাহিরে গিয়ে মেয়র নির্বাচন করায় তৈমূর আলমকে আহ্বায়কের পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক করা হয় মনিরুল ইসলাম রবিকে। দুই বছরের মাথায় একই বছরের ১৫ নভেম্বর মনিরুল ইসলাম রবি ও মামুন মাহমুদের আহ্বায়ক কমিটি ভেঙে দিয়ে কেন্দ্র থেকে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনকে আহ্বায়ক ও জেলা যুবদলের আহ্বায়ক গোলাম ফারুক খোকনকে সদস্য সচিব করে ৯ সদস্যবিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।