ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দায়ের করা বৈষম্যবিরোধী হত্যাকাণ্ডের মামলায় আদালতে প্রথম চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। চার্জশিটে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ মোট ১৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। মামলায় অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে রাখা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পুলিশ পরিদর্শক মো. আলমগীর হোসাইন আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ৯ সেপ্টেম্বর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় নিহত আব্দুল লতিফের বাবা মো. নেজাবুদ্দিন সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। প্রাথমিকভাবে ১২ জনকে আসামি করা হয়েছিল। পরে তদন্ত শেষে চার্জশিটে ১৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।
চার্জশিটে অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন—সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক এমপি শামীম ওসমান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি ইয়াসিন মিয়া, শামীম ওসমানের ভাতিজা আজমেরী ওসমান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মজিবুর রহমান, শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমান, নাসিকের সাবেক কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি, আশরাফ, ইয়াসিন আরাফাত রাসেল, আবু বকর সিদ্দিক, সাবেক কাউন্সিলর শাহজালাল বাদল ও ওমর ফারুক।
নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইয়ুম খান জানান, ২০২৪ সালের ২১ জুলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগাংরোড এলাকার দশতলা বিল্ডিংয়ের সামনে ছাত্র-জনতার ওপর আওয়ামী লীগের লোকজন হামলা চালায়। ওই হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আব্দুল লতিফ নিহত হন। ঘটনার পর সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সাবেক সেতুমন্ত্রী এবং শামীম ওসমানসহ ১২ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘মামলাটির তদন্তের জন্য এটি পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল। তদন্ত শেষে মামলায় উল্লেখিত ১২ জনসহ আরও দুই জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।’
বুধবার চার্জশিটটি ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে উপস্থাপন করা হবে। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে ২৪ সেপ্টেম্বর। চার্জশিটে অভিযুক্তদের মধ্যে দুজন গ্রেপ্তার রয়েছেন, বাকিরা পলাতক।
