
ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জের টানবাজারে প্রায় সব কাউন্টের সুতার দাম ছয় মাসের ব্যবধানে কমেছে পাউন্ডপ্রতি ৮-১০ টাকা। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, তৈরি পোশাক খাতে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বৃদ্ধি, ডলারের বাজারে অস্থিরতা ও রফতানি অর্ডার কমে যাওয়ায় ছোট-বড় অনেক গার্মেন্টস কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। এ কারণে দেশের বাজারে সুতার চাহিদা আগের তুলনায় কমেছে, যার প্রভাব পড়েছে দামে।
গতকাল খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জের টানবাজারে ১০ কাউন্টের সুতা প্রকার ভেদে পাউন্ডে ৫০-৬৫ টাকা দরে বেচাকেনা হচ্ছে, যা গত ছয় মাস আগে ছিল ৫৫-৭০ টাকা। সে হিসাবে দাম কমেছে প্রায় ৫ টাকা।
প্রতি পাউন্ড ২০ কাউন্টের সুতায় বাজারে বেচাকেনা হচ্ছে প্রকার ভেদে ৯০-১০৫ টাকা, যা ছয় মাস আগে ছিল ৯৫-১১৫ টাকা। হিসাব অনুযায়ী, ছয় মাসের ব্যবধানে দাম কমেছে ১০ টাকা।
টানবাজারে ৩০ কাউন্টের সুতার দাম কমেছে ১০-১২ টাকা। ছয় মাস আগে একই মানের প্রতি পাউন্ড সুতা ১৩৫-১৫০ টাকায় বেচাকেনা হলেও বর্তমানে তা কমে ১৩০-১৪০ টাকায় নেমে এসেছে।
বর্তমানে বাজারে ৪০ কাউন্টের সুতা বেচাকেনা হচ্ছে ১৫৫-১৬৫ টাকা পাউন্ড দরে, যা গত চার মাস আগে ছিল ১৬০-১৭৫ টাকা।
আরো জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জের টানবাজারে ৫০ কাউন্টের সুতা বেচাকেনা হচ্ছে পাউন্ডে ১৮০-১৯০ টাকা, যা দুই-তিন মাস আগেও ছিল ১৯০-২০০ টাকা। সে হিসাবে দাম কমেছে প্রায় ২০ টাকা।
নিত্য সাহা নামের এক সুতা ব্যবসায়ী জানান, মূলত গার্মেন্টেসের অর্ডারের ওপর সুতার চাহিদা নির্ভর করে। সম্প্রতি এ খাত থেকে সুতার অর্ডার কমে গেছে।
অনেক ছোট-বড় গার্মেন্টস বন্ধ হয়ে গেছে। অনেক স্পিনিং মিল উৎপাদন কমিয়ে এনেছে আগের তুলনায় অর্ধেকের নিচে। এ কারণে ছয় মাস ধরেই নারায়ণগঞ্জে সুতার দাম কমছে।
আরেক সুতা ব্যবসা কামাল হোসেন জানান, আড়াইহাজারসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের তাঁতিরা আগের মতো টানবাজার থেকে সুতা কিনতে আসছেন না। কারণ সুতা নিয়ে কাপড় উৎপাদন করে তা বিক্রি থেকে আয় কমেছে।
এ কারণে তারা কাপড় উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছেন। এসবের প্রভাব সুতার দামের ওপরও পড়েছে।