শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫

|

কার্তিক ২৯ ১৪৩২

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

না.গঞ্জে অস্থির সবজির বাজার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১৬:০৯, ১৪ নভেম্বর ২০২৫

না.গঞ্জে অস্থির সবজির বাজার

ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জে সরবরাহ থাকলেও সবজির বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। সব ধরনের সবজি কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে। তবে গত সপ্তাহের দামেই বিক্রি হচ্ছে। তবে সপ্তাহ ব্যবধানে পেঁয়াজ কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা কমেছে।

শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) দিগুবাবুর বাজারঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকলেও সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। এসব বাজারে শিম কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে ১০০ থেকে ১২০ টাকা, টমেটো কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে ১৪০ টাকা, গাজর কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ১৪০ টাকা, মূলা ৪০ টাকা, ফুল কপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা পিস, বাঁধা কপি ৫০ থেকে ৬০ টাকা এবং লাউ ৬০ থেকে ৮০ টাকা পিস দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজি ঝিঙ্গা ৬০ টাকা, করলা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, বরবটি ৬০ থেকে ৮০ টাকা,  বেগুন ৮০ থেকে ১০০ টাকা, কচুর লতি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা এবং ধুন্দল ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। 

এসব বাজারে কাঁচামরিচ কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে প্রকারভেদে ১৬০ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।  পেঁপে ২০ থেকে ৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, দেশি শসা ৮০ থেকে ১০০ টাকা এবং হাইব্রিড শসা ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। 

সরবরাহ বাড়লেও সবজির দামে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন তরকারি বিক্রেতা সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, হঠাৎ করেই পাইকারি বাজারে সবজির দাম বাড়ায় খুচরা বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। তবে পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় সবজির দাম বেড়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

বাজারগুলোতে লেবুর হালি ২০ থেকে ৩০ টাকা, ধনে পাতা কেজিতে ৩০০ টাকা কেজি, কাঁচা কলা হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, চাল কুমড়া ৫০ টাকা পিস, কেপসি ক্যাপ ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারগুলোতে লাল শাক আঁটি ১৫ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৪০ টাকা, কলমি শাক ২ আঁটি ২০ টাকা, পুঁই শাক ৪০ টাকা এবং ডাটা শাক দুই আঁটি ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এসব বাজারে আলু ২০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ১০ টাকা কমে ১০০ থেকে ১০৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারগুলোতে সোনালি কক মুরগি কেজিতে ১০ টাকা কমে ২৮০ টাকা এবং সোনালি হাইব্রিড মুরগি ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। লাল লেয়ার মুরগি ৩০০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৭০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৫৭০ থেকে ৫৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। 

 এসব বাজারে ইলিশ ৩০০ গ্রাম ওজনের ১কেজি মাছ ১০০০ টাকা, ৫০০ গ্রামের ১৬০০ টাকা, ৭০০ গ্রামের ১৮০০ থেকে ২০০০ টাকা এবং ১ কেজি ওজনের ২৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এসব বাজারে এক কেজি শিং মাছ চাষের (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৫৫০ টাকায়, দেশি শিং ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকায়, দেশি মাগুর মাছ ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা , মৃগেল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়, চাষের পাঙ্গাস ২০০ থেকে ২৩০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ১৪০০ টাকায়, বোয়ালমাছ প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায়, বড় কাতল ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকায়, পোয়া মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০ টাকায়,  কৈ মাছ ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১৩০০ টাকায়, টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি মাছ ৫০০ টাকায় এবং পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। 

এসব বাজারে গরুর মাংস কেজি প্রতি ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকায়, গরুর কলিজা ৭৮০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  

বাজারগুলোতে দেশি আদা ১৪০ থেকে ১৬০টাকা,  চায়না আদা ২০০ টাকা, রসুন দেশি ১০০ টাকা এবং ইন্ডিয়ান ১৮০ টাকা, দেশি মশুর ডাল ১৬০ টাকা, মুগ ডাল ১৮০ টাকা, ছোলা ১১০ টাকা এবং খেসারির ডাল ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়, হাঁসের ডিম ২১০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ১১০ টাকা এবং সোনালি কক মুরগির ডিম হালি ৭০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

এসব বাজারে মিনি কেট চাল প্রকারভেদে ৮৫ থেকে ৯২ টাকা এবং নাজির সের ৮৪ থেকে ৯০ টাকা, স্বর্ণা ৫৫ টাকা এবং ২৮ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা দরে।