
ফাইল ছবি
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় পুলিশ ক্যাম্পে সশস্ত্র ডাকাতদের হামলা ও গোলাগুলির ঘটনায় জড়িত কুখ্যাত নৌ-ডাকাত রিপন ডাকাতসহ তিনজনকে ঢাকার মতিঝিল, যাত্রাবাড়ি ও গাজীপুর সদর থেকে আটক করেছে র্যাব-১১ সদর কোম্পানি নারায়ণগঞ্জ।
বুধবার (২৮ আগস্ট) ভোররাত থেকে সকাল পর্যন্ত একাধিক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব জানায়, আটককৃতরা হলেন- হারুন মেম্বর (৪৭), জামিল উদ্দিন মাসুম (৪০) এবং নয়ন-পিয়াস-রিপন বাহিনীর প্রধান রিপন (৪১)। তাদের হেফাজত থেকে চারটি বাটন ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। রিপনের বিরুদ্ধে শুধু মুন্সিগঞ্জ ও চাঁদপুরেই রয়েছে অস্ত্র, হত্যা, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, মাদক এবং চুরি-সহ কমপক্ষে ২১টি মামলা।
গণমাধ্যম ও মামলার এজাহার সূত্রে
জানা যায়, গত ২৫ আগস্ট বিকেল পাঁচটার দিকে গজারিয়ার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের জামালপুরে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পে সশস্ত্র হামলা চালায় নৌ-ডাকাত নয়ন, পিয়াস ও রিপনের বাহিনীর প্রায় ৩০-৪০ জন সদস্য। হেলমেট পরিহিত ডাকাতরা ট্রলারযোগে ক্যাম্পে গিয়ে একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। প্রায় আধা ঘণ্টাব্যাপী গোলাগুলিতে ডাকাতদের পক্ষ থেকে ১০০টির মতো এবং পুলিশের পক্ষ থেকে ২০ রাউন্ডের মতো গুলি ছোড়া হয়। পরে ডাকাতরা চাঁদপুরের মতলব এলাকায় পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে মেঘনা নদী ও শাখা নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলন ও নৌযান থেকে চাঁদাবাজি করে আসছে নয়ন, পিয়াস, রিপন ও লালু বাহিনী। তাদের ভয়ে গ্রাম ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল শতাধিক পরিবার। সম্প্রতি পুলিশ ক্যাম্প চালু হওয়ার পর গ্রামে শান্তি ফিরতে শুরু করলে ডাকাতরা ক্যাম্প বন্ধের জন্য ভয়ভীতি ও সশস্ত্র হামলা চালায়।
এই ঘটনায় গজারিয়া থানায় এসআই সৈয়দ আজহারুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলার ভিত্তিতে র্যাব-১১ গোয়েন্দা নজরদারি ও তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকার মতিঝিল, যাত্রাবাড়ি ও গাজীপুর সদর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করে।
র্যাব-১১ জানায়, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।