ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জের আদালতপাড়ায় শিশু সন্তানদের সামনে বাবা ও মাকে মারধরের ঘটনায় মহানগর বিএনপির আহবায়কের বিরুদ্ধে মামলা নিয়েছে ফতুল্লা থানা পুলিশ।
এর আগে পুলিশ হামলার ঘটনায় মামলা নিতে চাইছিলো না বলে অভিযোগ করেছিলেন মামলার বাদী ও ভুক্তভোগী রাজিয়া সুলতানা। মামলায় বিএনপির আহবায়কের নাম সংযুক্ত করতে থানার গেটে অবস্থান কর্মসূচি পালনও করেন এ নারী।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার।
এ ঘটনার একাধিক ভিডিও ঘটনার পর পরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সেগুলোর কোথাও মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানকে দেখা যায়নি।
মামলার আসামিরা হলেন- মহানগর বিএনপির আহবায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান (৫০), সাত্তারের ছেলে ইসমাইল (৪৬), হিরন (৩৮), শাহালম (৪৮), সাত্তার সরকারের ছেলে টিটু (৫০), রাসেল ব্যাপারি (৩৫)। এছাড়াও আরও ১২ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
এবিষয়ে মামলার বাদী রাজিয়া সুলতানা জানান, আজকে থানা থেকে আমাকে ফোন করে জানানো হয়েছে যে মামলাটি নেয়া হয়েছে। আমরা থানা থেকে মামলার কপিটি সংগ্রহ করেছি। তবে কপিতে সাখাওয়াতের নামটি ঘোলা করা।
এবিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মোঃ জসিম উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় মামলা নেয়া হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করে ব্যাবস্থা নেবে।
এর আগে গত রোববার (২৬ অক্টোবর) নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় আদালতে মামলার শুনানিতে যাওয়ার সময় রাজিয়া সুলতানা নামের এক নারী, তার স্বামী ও সন্তানদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় রাজিয়া সুলতানা (৩৮) তার স্বামী মোঃ ইরফান মিয়া (৫০) ও দুই পুত্র জিদান (১৮) এবং আব্দুল্লাহ (৫) আহত হন। এঘটনায় মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান দায়ী বলে অভিযোগ তোলেন তিনি।
তবে ঘটনার একাধিক ভিডিও ফুটেজের কোথাও সাখাওয়াতকে দেয়া যায়নি।
এদিকে হামলার ঘটনার সাথে কোন সংশ্লিষ্টতা নেই বলে দাবী করেছেন এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে ক্লিন ইমেজ নষ্ট করতে এই ষঢ়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে দাবী করেন তিনি।

