
ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপারের পুরস্কার ঘোষিত তালিকাভুক্ত মাদক সম্রাট পরিবারের পক্ষে থানা পুলিশ এর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ সম্মেলন এর সংবাদ প্রচার করে প্রশাসনসহ জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে একটি কুচক্রী মহল। মাদক সিন্ডিকেট সংশ্লিষ্ট "মাদক দিয়ে ৫লাখ টাকা আদায়ের অভিযোগে বন্দরে ওসির বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী নারীর সংবাদ সম্মেলন" শিরোনামে ছবিযুক্ত সংবাদটি গত ২১ আগস্ট স্থানীয় পত্রিকাগুলোতে পাঠায়।
সংবাদটির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য স্থানীয় পত্রিকার একাধিক উর্ধতন কর্মকর্তা মাঠ পর্যায়ের সাংবাদিকদের কাছে ফোন করে উক্ত সংবাদ সম্মেলন এর সত্যতা পাওয়া যায়নি। বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডস্থ সুচিয়ারবন এলাকার মৃত আমানউল্লাহর ছেলে বন্দর থানাসহ বিভিন্ন থানায় দায়ের হওয়া প্রায় দুই ডর্জন মামলার আসামি তালিকাভূক্ত মাদক সম্রাট মতিউর রহমান (ব্লাক জনি)। তার স্ত্রী বন্দর থানাসহ বিভিন্ন থানার একাধিক মাদক মামলার আসামি হাবিবা বেগম সম্প্রতি ১০ পিস ইয়াবাসহ বন্দর থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়। জেল থেকে জামিনে এসে থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ লিয়াকত আলীসহ সেকেন্ড অফিসার এস আই মোঃ জলিল মন্ডল এর বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন সংবাদ সম্মেলন দেখিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। কোথায় কখন এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় তা প্রকাশ করা হয়নি প্রেরিত সংবাদে। ভিত্তিহীন এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে সংবাদটি প্রচারকারী ব্যাক্তি সাংবাদিক পরিচয়ে মাদক সম্রাট পরিবারের রক্ষাকর্তা হিসেবে মোটা অংকের অর্থ নিয়ে ঐ সংবাদটি প্রচার করেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়। স্থানীয় পত্রিকাগুলোর কর্তৃপক্ষ সচেতন বিধায় ভিত্তিহীন সংবাদ সম্মেলনের সংবাদটি প্রকাশ না করে বস্তুনিষ্ঠতার পরিচয় দিয়েছে। যদি প্রকাশ হতো তাহলে ঐ সংবাদ প্রচারকারীর আরও স্বার্থ হাসিলের সুযোগ পেত।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি লিয়াকত আলী গণমাধ্যমকে জানান, বন্দরে তালিকাভূক্ত মাদক ব্যবসায়ী দম্পতি পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য ভিত্তিহীন সংবাদ সম্মেলন করে। আমি এর র্তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি। গত কয়েক দিন পূর্বে ১০ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মাদক সম্রাট মতিউর রহমান জনী ওরফে ব্লাক জনী স্ত্রী নারী মাদক ব্যবসায়ী হাবিবা আক্তারকে গ্রেপ্তার হয়। পরে তাকে ওই মামলায় আদালতে প্রেরণ করা হয়।