
ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকনকে দীর্ঘদিন ধরে নেতাকর্মীরা খুঁজে পাওয়া। দলীয় কর্মসূচী চলমান থাকলেও নেতাকর্মীদের দিক নির্দেশনা দেয়া কিংবা নিজে মাঠে নামা তো দূরে থাক তিনি আছেন কিনা তাই জানেন না নেতাকর্মীরা।
তার এহেন কর্মকান্ডে নেতাকর্মীরা তার নাম দিয়েছে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নিখোঁজ নেতা।
ঢাকায় বিএনপির ২৮ অক্টোবরের সমাবেশ পর থেকে নারায়ণগঞ্জে দেখা পাওয়া যায়নি জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদককে। সামান্য মিছিল করতেও মাঠে নামেনি তার অনুগত নেতাকর্মীরা। এমনকি তিনি নিজেও কাউকে একটি মিছিলের নির্দেশনাও দেননি। তিনি এযাবতকালে নারায়ণগঞ্জের সবচেয়ে নিষ্ক্রিয় নেতা হিসেবে ইতোমধ্যে দলের নেতাকর্মীদের কাছে পরিচিত পেয়েছেন। তার কর্মকান্ডে তৃণমূল থেকে হাইকমান্ড সকলেই ক্ষুব্দ। তার জেলা বিএনপির সভাপতির সাথেও তিনি যোগাযোগ করেননা বলে নানা সূত্রে জানা গেছে।
এর মধ্যে বুধবার (৬ ডিসেম্বর) থেকে চলছে বিএনপির ডাকা ১০ম দফায় অবরোধ কর্মসূচী। ১০ বার অবরোধের এ ডাকে ও হরতালের সময়ে একেবারে নিষ্ক্রিয় ছিল নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি। তার মূল ও প্রধান কারণ হিসেবে খোকনের নিস্ক্রিয়তা ও তার কর্মীদের সাথে যোগাযোগ না করার দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণকে দায়ী করছেন সকলে।
দলের জেলা বিএনপির কাউন্সিলের সময়ে তিনি দলের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দেয়ার ঘোষণা দিলেও বাস্তবে দলের জন্য নেতাকর্মীদের দিক নির্দেশনা দেয়ার মত দায়িত্বও পালন করেননি। তার কর্মকান্ডে অনেকেই তাকে দলের এই দুঃসময়ে দায়িত্ব পালনে অযোগ্য হিসেবে অভিহিত করেছেন কেন্দ্রে। ইতোমধ্যে কেন্দ্র থেকেও বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সাথে।
তবে নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ না করলেও কেন্দ্রের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে তিনি উপস্থিত হয়ে নানা কথা বলে থাকেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। ভিডিও কনফারেন্সে তিনি দলের নেতাদের মাঠে নামানো, নিজে নামা, নানা সক্রিয়তার গল্পও বলে থাকেন। এর মাঝে কেন্দ্র দায়িত্ব দিলে সেই দায়িত্বও নেন রাজপথে কর্মসূচীর। তবে সেই দায়িত্ব আর পালন করেন না তিনি।
এ ব্যাপারে কথা বলতে তার সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি। দলের কোন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ না থাকায় নেতাকর্মীরাও বলতে পারেননি তাকে কোথায় বা কি মাধ্যমে যোগাযোগের জন্য পাওয়া যাবে।