ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা থানা-আলীরটেক ও গোগনগর ইউনিয়ন) আসনটি জোট শরীক জমিয়তে উলামায়ে ইসলামকে ছেড়ে দিয়েছে বিএনপি। আসনটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে নেমেছেন সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন, বিএনপি নেতা শাহ্ আলম ও সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলী। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় গিয়াসউদ্দিন ও শাহ আলমকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।
ধারণা করা হচ্ছে, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সরে না দাঁড়ালে শেষ পর্যন্ত স্বতন্ত্র প্রার্থীদে মধ্যেই এ আসনে মূল লড়াই হবে।
এদিকে আসনটিতে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী হিসেবে মাঠে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা আব্দুল জব্বার। তিনি ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন। নির্বাচনী এলাকায় নিয়মিত গণসংযোগ করছিলেন আবদুল জব্বার। তবে জোট শরীক জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপির আব্দুল্লাহ আল আমিনকে আসনটি ছেড়ে দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। এ আসনে জোটের প্রার্থী হবেন আল আমিন।
এদিকে ঐতিহাসিক ভাবে আসনটি বিএনপির শক্তিশালী ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এ আসনে বিএনপির বিশাল ভোট ব্যাংক রয়েছে। জোট শরীককে ছেড়ে দেয়া এ আসনে বিএনপির ধানের শীষ মার্কার ভোট জমিয়তের মনির হোসাইন কাসেমীর খেজুর গাছ মার্কায় কতটা রুপান্তরিত হবে তা নিয়ে শংকা রয়েছে। সাধারণ ভেটাররা বলছেন এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর জয়লাভ করার সম্ভাবনাই বেশি। এছাড়াও ত্রিমুখী প্রতিযোগীতা হলে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘাত দেখা দিতে পারে বলে আশংকা রয়েছে।

