ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জে ২০২৫ সালের অন্যতম আলোচিত ঘটনা ছিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর গ্রেপ্তারের ঘটনা। আইভীকে গ্রেপ্তারের ঘটনাটি দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচিত হয়েছিল। এদিন আইভীর গ্রেপ্তার ঠেকাতে মাইকে ঘোষণা দিয়ে রাস্তায় নেমে আসেন শহরের দেওভোগ এলাকার বাসিন্দারা। রাতভর আইভীর বাড়ি ঘিরে রাখেন তারা৷ পরবর্তীতে সকালে আইভীকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় পুলিশ।
২০২৫ সালের ৯ মে সকাল পৌনে ৬টার দিকে শহরের দেওভোগ এলাকার নিজ বাসভবন ‘চুনকা কুটির’ থেকে গ্রেফতার করা হয় আইভীকে। এর আগে ৮ মে রাত ১১টার দিকে তার দেওভোগের বাড়িতে প্রবেশ করে পুলিশের একটি দল। এ সময় তাকে গ্রেফতারের খবর ছড়িয়ে পড়লে মূহুর্তেই ওই বাড়ির চারপাশে অবস্থান নেয় এলাকাবাসী ও দীর্ঘদিনের কর্মী-সমর্থকরা। ওই বাড়িতে যাতায়াতের চারটি রাস্তাই বাঁশ, ঠেলাগাড়ি ও ভ্যানগাড়ি ফেলে অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এক পর্যায়ে মসজিদের মাইকের মাধ্যমে সবাইকে আইভীর বাড়ির সামনে ডাকা হয়।
এসময় ওই বাড়িতে ঢোকা পুলিশের দলটি সেখানেই অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। রাত ১২টার দিকে মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ। কিন্তু তাদের কেউই কর্মী-সমর্থকদের বাধার মুখে তারা আইভীর বাড়ির কাছে পৌঁছাতে পারেননি। এভাবেই কাটে পুরো রাত। ভোরের দিকে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আইভীর বাড়িতে প্রবেশ করেন। এরপর ভোর পৌনে ৬টার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে সাড়ে ছয় ঘণ্টা নাটকীয়তার পর ভোর ৬টার দিকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়ার পথে শহরের কালির বাজার এলাকায় গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে। আইভীকে নিয়ে ডিবি কার্যালয়ের উদ্দেশে রওনা হলে তার সমর্থক নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উত্তেজনাকর স্লোগান, গাড়িবহরে বাধা ও শহরের গলাচিপা এলাকায় গাড়িবহর লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এ সময় এসআইসহ তিন জন আহত হন।
পরবর্তীতে হামলাকারীদের নিবৃত করে আইভীকে নারায়ণগঞ্জ জেলা আলাদতে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের হত্যা মামলায় আটক দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। মামলার শুনানি শেষে আইভীকে কারাগারে পাঠানের নির্দেশ দেয় আদালত। এঘটনার পর পুলিশের ওপর হামলার মামলাসহ আরও বেশ কয়েকটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় আইভীকে।
