ফাইল ছবি
নতুন বছরে পা রেখেছে নারায়ণগঞ্জবাসী। এই নতুন বছরটি নারায়ণগঞ্জের মানুষের জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ দীর্ঘ সতেরো বছর পর আবারও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিজেদের প্রতিনিধি নির্বাচনের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে এ জেলার জনগণ। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বহুল প্রত্যাশিত নির্বাচন, যেখানে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে আগামী পাঁচ বছরের জন্য জনপ্রতিনিধি বেছে নেবেন নারায়ণগঞ্জের ভোটাররা।
দীর্ঘ সময় ধরে নির্বাচনী কার্যক্রম স্থগিত থাকায় নাগরিক সেবা, উন্নয়ন পরিকল্পনা ও স্থানীয় প্রশাসনিক কার্যক্রমে জনপ্রতিনিধিত্বের ঘাটতি অনুভূত হয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। ফলে এবারের নির্বাচনকে ঘিরে সাধারণ মানুষের মধ্যে বাড়তি আগ্রহ ও উৎসাহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। নতুন বছরের শুরুতেই নির্বাচন। এখনও আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু না হলেও নারায়ণগঞ্জের অলিগলিতে আলোচনা ও প্রার্থীদের আনাগোনায় মুখর হয়ে উঠছে শহর।
গণতন্ত্রের মূল শক্তি হলো ভোটাধিকার। দীর্ঘ বিরতির পর সেই অধিকার ফিরে পাওয়ায় সাধারণ মানুষ আশাবাদী। একজন ভোটার জানান, অনেক বছর পর আমরা নিজেরা আমাদের নেতা নির্বাচন করার সুযোগ পাচ্ছি। এতে আমাদের এলাকার সমস্যা ও উন্নয়ন আরও কার্যকরভাবে তুলে ধরা সম্ভব হবে।
এদিকে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি পর্যাপ্ত ভোটকেন্দ্র, ইভিএম ও প্রশিক্ষিত কর্মকর্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভোটারদের নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে বলেও জানানো হয়।
রাজনৈতিক দলগুলোও নির্বাচনী মাঠে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। প্রার্থীরা ঘরে ঘরে গিয়ে ভোট চাচ্ছেন, তুলে ধরছেন তাদের পরিকল্পনা ও প্রতিশ্রুতি। উন্নয়ন, নাগরিক সেবা, কর্মসংস্থান ও স্বচ্ছ প্রশাসন এসব বিষয়ই প্রার্থীদের বক্তব্যে প্রাধান্য পাচ্ছে।
সব মিলিয়ে নতুন বছরের শুরুতেই নারায়ণগঞ্জবাসীর সামনে এসেছে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের এক গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ। ১২ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন শুধু একটি ভোটের দিন নয়, বরং দীর্ঘ অপেক্ষার পর গণতান্ত্রিক চর্চায় ফেরার একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জবাসী এখন তাকিয়ে আছে সেই দিনের দিকে, যখন ব্যালটের মাধ্যমে তারা নিজেরাই নির্ধারণ করবেন তাদের ভবিষ্যৎ পথচলা।

