
সংগৃহীত
নারায়ণগঞ্জে বেড়েছে ফলের দাম। এক সপ্তাহ আগের দামের চেয়ে বেশিরভাগ ফল এখন ক্রেতাদের কিনতে হচ্ছে প্রতিকেজি ২০ থেকে ৩০ টাকা বেশিতে।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) ফলের দোকানগুলোতে সরেজমিনে এ চিত্র দেখা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি কমলা লেবু বিক্রি হচ্ছে ৩৬০ টাকা দরে। ভারতীয় সবুজ কমলা বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়। মাল্টার প্রতি কেজি ২৮০ টাকা, বড় আকারের আপেল ৩৪০ টাকা, ছোট আকারের আপেল ২৪০ টাকা, চীন থেকে আসা আপেল বাজারভেদে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আঙ্গুরের কেজি ৪০০ টাকা, নাশপাতি ২৮০ টাকা, আনার বাজার ও ধরনভেদে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা, ড্রাগন ফল বাজার ও ধরনভেদে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতারা বলছেন, প্রায় সব ধরনের কাঁচাফলের বাজার প্রতিবেশী ভারতনির্ভর। দুর্গাপূজার কারণে সীমান্ত বন্ধ থাকায় আমদানি কমেছে। সেজন্য পুরান ঢাকার আড়তে ফল কম এসেছে, বেড়ে গেছে দাম। এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে।
ফল বিক্রেতা বাবর আলী লেন, গত বৃহস্পতিবার এসব ফল ১০ থেকে ২০ টাকা কম দামে বিক্রি করেছি। কোনো কোনোটি ৩০ টাকা কম দামেও বিক্রি করেছি। এখন আর সেটা পারছি না। ফলের আড়তে দাম বেড়েছে, আগের দামে আর বিক্রি করতে পারছি না। আনার ও আঙ্গুর নতুন করে মার্কেট থেকে আনা হয়নি। আঙ্গুর নেই, পুরাতন আনারই বিক্রি করছি। এখন যেমন ক্রেতা কম, আবার দামও বেড়েছে।
ফল বিক্রেতা আমির আলীর বক্তব্যও একই। তিনি বলেন, এসব ফলের দাম স্বাভাবিক হতে দুই থেকে তিন দিন সময় লাগবে। তারপর আবার আগের দামে বিক্রি করতে পারবো। এর মধ্যে আড়তে বেশি বেশি ফল পাওয়া যাবে। আড়তে এখন যেসব ফল পাওয়া যাচ্ছে দুইদিন আগেকার।
অবশ্য সম্প্রতি ডলারের দাম বৃদ্ধি ও ফল আমদানিতে মার্জিন বৃদ্ধির কারণে যে দাম বেড়েছে তা কমার আশা নেই বলেও মনে করেন এই বিক্রেতা।
এদিকে বাজারে বড় ডাব ১২০ থেকে বাজারভেদে ১৩০ টাকা, মাঝারি ডাব ১০০ টাকা এবং ছোট্ট ডাবের পিস ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়ারার কেজি ৬০ টাকা থেকে বাজার ও ধরনভেদে ৮০ টাকা রাখা হচ্ছে। এক কেজি ওজনের দেশি পেঁপে বাজারভেদে ৯০ থেকে ১০০ টাকা, আমদানি করা পেঁপের কেজি ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বড় জাম্বুরার প্রতিটির দাম ৮০ টাকা, ছোট আকারের জাম্বুরা বাজারভেদে ৪০ থেকে ৫০ টাকা রাখা হচ্ছে। বড় আমড়ার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা। বড় আনারস ৫০ থেকে ৭০ টাকা পিস এবং ছোট আনারস ৩০ থেকে ৪০ টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে।
ফলের দাম বৃদ্ধিতে নিরুপায় ক্রেতারা। তুলনামূলক সচ্ছল মানুষ এক্ষেত্রে বেশি চাপে না পড়লেও কম আয়ের মানুষকে একটু দরদাম করে কিনতে দেখা গেছে।