
ফাইল ছবি
বন্দরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সুজন (৩০) নামে আকিজ কোম্পানি এক শ্রমিককে কুপিয়ে বসত ঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনার দীর্ঘ ৮ দিন পর অবশেষে আদালতে পিটিশন মামলা দায়ের হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) আহত শ্রমিকের পিতা আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে হামলাকারি মামুন, রাজিব, ইব্রাহীম, মাছুম ও আবিরের নাম উল্লেখ্য বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। যার পিটিশন মামলা নং- ২৮২। ধারা- ১০৯/ ১৪৩/ ১৪৪/ ১৪৭/১৪৮/ ৪৪৭/ ৪৪৮/ ৪২৭/ ৩২৩/ ৩২৪/ ৩৮০/ ৩৫৪/ ৩০৭/ ৫০৬ দঃ বিঃ।
এর আগে গত বুধবার (২ জুলাই) সন্ধ্যা বন্দর থানার নবীগঞ্জ গার্ডেনের সামনে প্রথম দফা ও পরে একই রাত সাড়ে ৮টায় উত্তর নোয়াদ্দা এলাকায় এ হামলার ঘটনাটি ঘটে। ওই সময় হামলাকারিরা আহত সুজনের বাড়ী দরজা ভেঙ্গে অনাধিকার প্রবেশ করে ঘরে স্ট্রিল আলমারিতে রক্ষিত পেনশনের নগদ ১২ লাখ টাকা, ৫ ভরি স্বর্ণালংকার ও ঘর বাড়ি আসভাবপত্র ভাংচুর চালিয়ে আরো ৩ লাখ টাকা ক্ষতি সাধন করে পালিয়ে যায় ।আহত শ্রমিক সুজন বন্দর থানার উত্তর নোয়াদ্দা এলাকার আনোয়ার হোসেন মিয়ার ছেলে। স্থানীয়রা আহতকে মারাত্মক কাটা জখম অবস্থায় উদ্ধার করে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
ভূক্তভোগী শ্রমিকের পিতা আনোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে জানায়, আমার ছেলে সুজন দীর্ঘ দিন ধরে আকিজ কোম্পানিতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করে আসছিল। আমার ছেলে সুজনের সাথে একই থানার দেওলী চৌরাপাড়া এলাকার সেরাজুল মিয়ার ২ ছেলে রাজিব ও মামুনের দীর্ঘ দিন ধরে পূর্ব শত্রুতা চলছিল। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত বুধবার (২ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টায় ও সাড়ে ৮টায় রাজিব ও মামুনের নেতৃত্বে একই এলাকার মৃত মানিক বেপারী ছেলে ইব্রাহীম ও তার ছেলে মাছুম এবং একই এলাকার খোরশেদ মিয়ার ছেলে আবিরসহ অজ্ঞাত নামা ৮/১০ জন দুর্বৃত্তরা আমার ছেলেকে হত্যা করার উদ্দেশ্য বেদম ভাবে কুপিয়ে ডান হাতের ২টি আঙ্গুল কর্তনসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে গুরুত্বর কাটা জখম করে। এ ছাড়াও একই রাত সাড়ে ৮টায় উল্লেখিত দুই ভাইসহ উল্লেখিত বিবাদীগন আমার বসত বাড়িতে হামলা চালিয়ে আসভাবপত্র ব্যাপক ভাংচুর চালিয়ে ৩ লাখ টাকা ক্ষতিসাধনসহ পেনশনের ১২ লাখ টাকা ও ৫ ভরি স্বর্ণালংকার লুটপাট করে নিয়ে। বর্তমানে আমার ছেলে অবস্থা আশংকা জনক। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।