রোববার, ০৩ আগস্ট ২০২৫

|

শ্রাবণ ১৮ ১৪৩২

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

রূপগঞ্জে বিয়ে করতে যাবার পথে বরের মৃত্যু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ২১:৪২, ২ আগস্ট ২০২৫

আপডেট: ০০:০৫, ৩ আগস্ট ২০২৫

রূপগঞ্জে বিয়ে করতে যাবার পথে বরের মৃত্যু

ফাইল ছবি

বরযাত্রী নিয়ে কনের বাড়িতে যাচ্ছিলেন বর, পথিমধ্যে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তার। মৃত্যুর সময়কার একটি ভিডিও শুক্রবার (১ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।

এর আগে, বৃহস্পতিবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরিপুর এলাকায় চলন্ত গাড়িতে বুকে ব্যথা উঠে ওই বরের। প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকায় পাঠান। পরে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত ২টায় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত বরের নাম অমিত সরকার। তিনি কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার কেরণখাল ইউনিয়নের ডুমুরিয়া গ্রামের প্রবাসী দিলীপ সরকারের ছেলে। নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার ভিংরাব গ্ৰামে তার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল।

শনিবার (২ আগস্ট) ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিহত অমিত সরকারের প্রতিবেশী গুরুপদ সরকার।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নিহত অমিত সরকার একজন প্রবাসী। তিনি কিছুদিন আগে বিয়ে করার উদ্দেশে বাংলাদেশে আসেন। নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার ভিংরাব গ্ৰামে তার বিয়ে ঠিক হয়। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। রাত ৯টার দিকে বরযাত্রী রওনা হয়। ১০টার দিকে গৌরীপুর এলাকায় গেলে হঠাৎ বুকে ব্যথা উঠে অমিতের। পরে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেন। স্বজন বাসিন্দারা তাকে ঢাকার ল্যাবএইড হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান। রাত ২টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অপরদিকে, নিহত অমিত সরকারের ছোট ভাই আশিক সরকার বছর তিনেক আগে ঘুমের মধ্যে হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যবরণ করেছিলেন বলে জানিয়েছেন স্বজনরা। দুই ছেলেকে হারিয়ে পাগলপ্রায় হয়ে আছেন বাবা-মা।

প্রতিবেশী গুরুপদ সরকার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, বরযাত্রীর গাড়ি বহরে আমিও ছিলাম। বরের গাড়ি অতিক্রম করে আমরা সামনে চলে যাই, কিছুক্ষণ পর বরের প্রাইভেটকার চালক আমাদের গাড়ি চালককে ফোন করে বলেন গাড়ি ঘুড়িয়ে গৌরিপুর আসেন, বর অসুস্থ। প্রথমে গৌরিপুর একটি হাসপাতালে নিয়ে যাই। পরে ঢাকার ল্যাবএইড হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক জানালেন সে আর জীবিত নেই। আমাদের আর বিয়েতে যাওয়া হয়নি।

চান্দিনা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ উল ইসলাম বলেন, এমন একটি খবর ফেসবুকের মাধ্যমে জেনেছি। তবে এ বিষয়ে কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি।