ফাইল ছবি
বন্দরে চোর অাখ্যা দিয়ে রাজমিস্ত্রী পারভেজ (৩০) কে অমানবিক নির্যাতন পর পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে নিহতের স্ত্রী খাদিজা বেগম বাদী হয়ে মহিলাসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করেন তিনি। যার মামলা নং- ৩৭(১১)২৫। তবে এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত কাউকে গ্রেপ্তারের সংবাদ জানাতে পারেনি পুলিশ। নিহত পারভেজ সিদ্ধিরগঞ্জ থানার বার্মাশীল এসো এলাকার মৃত তারা মিয়ার ছেলে। সে দীর্ঘ দিন ধরে বন্দর থানার ২৬ নং ওয়ার্ডের সোনাচড়া এলাকায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছিল। এর আগে রোববার (২৩ নভেম্বর) রাত ১টা থেকে সকাল সাড়ে ৬টার মধ্যে যে কোন সময়ে বন্দর থানার ২৬ নং ওয়ার্ডের সোনাচড়াস্থ মেসবাউদ্দিন ওরফে মেছের মিয়ার নব নির্মানাধীন বিল্ডিং এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।
মামলার তথ্য সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি সময়ে বন্দর থানার সোনাচড়াস্থ আওয়ামীলীগ দোসর এম এ রশীদের সন্ত্রাসী ভাই মেসবাহউদ্দিন ওরফে মেছেরের নির্মাণাধীন ভবন থেকে বাদিনী ভাই জাবেদ (২৩) তার চুরি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় বিবাদী মেসবাহউদ্দিন ওরফে মেছের ও তার সন্ত্রাসী ছেলে মাহিন তার মা হাজেরা বেগম, ঢাকেরশ্বরী বাজার এলাকার মৃত রফিক মোল্লার ছেলে রাশেদ সোনাচড়া এলাকার মুছা মিয়ার ছেলে মুন্না একই থানার রাহিম মিয়ার ছেলে শান্ত ও সোনাচড়া এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে রায়হান মামলার বাদিনীর ভাই জাবেদসহ তার পরিবারকে হত্যার হুমকি দামকি দিয়ে আসছিল। এর ধারাবাহিকতা গত রোববার (২৩ নভেম্বর) রাত ১টায় মামলার বাদিনী স্বামী রাজমিস্ত্রী পারভেজ মদনপুর হইতে পায়ে হেঁটে বাড়ি উদ্দেশ্য রওনা দিয়ে সোনাচড়াস্থ উল্লেখিত বিবাদী সন্ত্রাসী মেসবাহউদ্দিনের বাড়ি সামনে আসলে ওই সময় উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা রাজমিস্ত্রীকে চোর আখ্যা দিয়ে নির্মানাধীন ভবনের ভিতরে নিয়ে রাতভর পিটিয়ে শারীরিক নির্যাতন পর হত্যা করে নির্মানাধীন ভবনের বারান্দা সামনে লাশ ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি লিয়াকত আলী জানান, এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। পলাতক আসামীদের গ্রেপ্তার জন্য পুলিশি অভিযান অব্যহত রেখেছে।

