ফাইল ছবি
সারা দেশে ৫.৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের ভুমিপল্লী এলাকায় বেশ কয়েকটি ভবন ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাজউক এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশ (আইআইবি)-সহ বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলীদের একটি প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এসব ভবন পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে ভূমিকম্পে হেলে পড়া তিনটি ভবনসহ মোট ছয়টি ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয় এবং প্রতিটি ভবনে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেয়া হয়। একই সঙ্গে ভবনের মালিকদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বাসিন্দাদের দ্রুত সরিয়ে নেয়ার জন্য।
আইআইবি’র ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী এ টি এম তানভীরুল হাসান তমাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্থ তিনটি ভবন পরিদর্শন করেছি। প্রতিটি ভবনের ক্ষতিগ্রস্থতার ধরণ একই রকম। পরিলক্ষিত হয়েছে, সয়েল সেটেলমেন্টের কারণে টল্টিং হয়েছে। তবে ভেতরে স্ট্রাকচারে কোনো ফাটল দেখা যায়নি। ফাউন্ডেশন যথেষ্ট শক্তিশালী না থাকায় এই ক্ষতি হয়েছে। ভবনগুলো নির্মাণের সময় গভীর পায়লিং করা হয়নি, যার কারণে দুর্বল অংশ হেলে পড়েছে। আমরা ম্যাজারমেন্ট করে রিপোর্ট আকারে রাজউককে জানাবো এবং পরবর্তী পদক্ষেপে সহযোগিতা করব।’
রাজউক নারায়ণগঞ্জ জোন-৮ এর অথোরাইজড অফিসার প্রকৌশলী রংগন মন্ডল বলেন, ‘পরিদর্শনের সময় আমরা দেখেছি তিনটি ভবন পাশের তিনটি ভবনের উপর হেলে পড়েছে। অর্থাৎ মোট ছয়টি ভবন ক্ষতিগ্রস্থ এবং ঝুঁকিপূর্ণ। এই ছয়টি ভবন নিরাপদ নয়। বুয়েটসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ভবনগুলো পরীক্ষা নিরীক্ষা করবেন। যতক্ষণ পর্যন্ত নিরাপদ বলে বিবেচিত না হবে, ততক্ষণ এই ভবনগুলো ব্যবহার করা যাবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করেছি, অনেক ভবন মালিক ও বাসিন্দা ইতিমধ্যেই ভবন খালি করছেন। আমাদের নির্দেশনা তারা মেনে চলছেন। বিষয়গুলো জেলা প্রশাসন, সিটি কর্পোরেশন ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছি। ভবনগুলো খালি হলে পুনরায় পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে প্রতিবেদন উর্ধতন কতৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। ততক্ষণ ভবনগুলো ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকবে। পরবর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।’
