বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

|

বৈশাখ ১১ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

র‍্যাবের গাড়ি ডাকাতির উদ্দেশ্যে থামিয়ে আটক ৮ ডাকাত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১৬:০২, ১৭ মার্চ ২০২৩

র‍্যাবের গাড়ি ডাকাতির উদ্দেশ্যে থামিয়ে আটক ৮ ডাকাত

আটক

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া থানাধীন চর বাউসিয়া থেকে ডাকাতিকালীন সময়ে মহাসড়ক ডাকাত চক্রের ৮ সদস্যকে আটক করেছে র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন। এসময় দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৭ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান র‍্যাব ১১ এর সিপিসি ১ এর স্কোয়াড্রন লিডার একেএম মুনিরুল আলম।

এর আগে রাতে মহাসড়ক ডাকাত চক্রের দলনেতাসহ ০৮ সক্রিয় সদস্যকে বিভিন্ন ধরণের দেশীয় অস্ত্রসহ হাতেনাতে আটক করা হয়।

তিনি জানান, রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সাদা পোষাকে এবং পোষাক পরিহিত অবস্থায় দুটি দলে বিভক্ত হয়ে টহল কার্যক্রম পরিচালনা করতে করতে কাঁচপুর থেকে দাউদকান্দি পর্যন্ত যায়। দাউদকান্দি থেকে পুনরায় ফেরত আসার পথে মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানাধীন চর বাউসিয়া এলাকায় পৌছালে র‌্যাব-১১ এর সাদা পোষাকের আভিযানিক দলটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঢাকা মুখী নির্জ্জন অন্ধকারাছন্ন জায়গায় যানজটে পড়ে। এ সময়ে সাধারণ যাত্রীবাহি গাড়ী মনে করে ১০/১২ জন দুর্ধর্ষ ডাকাত দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ডাকাতির উদ্দেশ্যে সাদা পোষাকে থাকা র‌্যাব সদস্যদের গাড়িটিকে ঘেরাও করে। তখন র‌্যাব সদস্যরা গাড়ী থেকে নেমে ধাওয়া করে কৌশলে এই ডাকাত দলের দলনেতা সহ ০৮ জন সদস্যকে বিভিন্ন ধরণের দেশীয় অস্ত্রসহ হাতেনাতে আটক করতে সক্ষম হয় এবং আরো ৩/৪ অজ্ঞাতনামা ডাকাত দৌড়ে পালিয়ে যায়। 

গ্রেফতারকৃত ডাকাত দলের সদস্যরা হলঃ মোঃ সুজন (২০), মোঃ রাসেল (২৭), মোঃ আলাউদ্দিন (১৯), মোঃ বাদশা হোসেন দিপু (২৩), মোঃ সাব্বির (১৯), হাবিবুর রহমান (১৯), মোঃ মিন্টু (২৩), মোঃ সিয়াম (১৯)। 

এসময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতিতে ব্যবহৃত ০১ টি রামদা, ০৩ টি চাইনিজ কুড়াল, ০১ টি স্টীলের তৈরি চাপাতি, ০১ টি বড় ছোরা, ০১ টি হাতুড়ি এবং ০১ টি শাবল উদ্ধার করা হয়।  

আটকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র‍্যাব জানায়, তারা একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্র এবং তাদের দলের সদস্য সংখ্যা ১২-১৫ জন। ডাকাত সর্দার মোঃ সুজন ও তার সহযোগীরা দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকারের যাত্রীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাদের নগদ টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র ডাকাতি করে আসছিল। গত দুই বছরে তারা এই মহাসড়কে প্রায় ৫০টির অধিক ডাকাতি করেছে বলে স্বীকারোক্তি প্রদান করে।