ডাঃ সেলিনা হায়াৎ আইভী
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডাঃ সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, আমাদেরও কষ্ট আছে। জনপ্রতিনিধিদের বেতনও অনেক সামান্য। এটাও আমি মনে করি বৃদ্ধি করা উচিত। সরকারের কর্মচারী কর্মকর্তাদের বেতন বাড়ানো হলে জনপ্রতিনিধিদেরটা কেন নয়। সকল ক্ষেত্রে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীই কাজ করে যাচ্ছেন।
মঙ্গলবার (২৮ জুন) বিকেলে জেলা গণগ্রন্থাগার মিলনায়তনে এনইউজের পক্ষ থেকে ৫ জন সাংবাদিককে সাংবাদিক কল্যান তহবিল থেকে প্রাপ্ত ৯ লাখ টাকার চেক বিতরণ এবং ফল উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এসময় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে একথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমাদের আনোয়ার কাকা অনেক কথাই বলে। আবার মাঝে মাঝে নারায়ণগঞ্জের পরিস্থিতির জন্য শান্ত হয়ে যান। আমরা চাইনা তিনি শান্ত থাকুক কথা কম বলুক। আমরা চাই তিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে আরও সোচ্চার থাকুক। অনেক সময় নিজেকে একা মনে হয়। সেই একাকীত্বটা যেন শ্রদ্ধেয় আনোয়ার কাকা, বাবু ভাইসহ আমাদের মন্ত্রী গাজীসহ আরও যারা আছেন আমরা যেন একসাথে কাজ করতে পারি।
আমদের নারায়ণগঞ্জ স্বমহিমায় দাঁড়িয়ে আছি। একসময় সোনারগাঁ বাংলার রাজধানী ছিল। আমাদের প্রতিটি থানাই অত্যন্ত ঐতিহ্যবাহী। আমরা অনেক সময় কথা বলতে গিয়ে বিগত বিশ ত্রিশ বছরের ইতিহাসটাকেই টেনে নিয়ে আসি এবং বাকিটা ভুলে যাই। আমরা পজেটিভ ভাবে নারায়ণগঞ্জকে তুলে ধরতে চাই। আমাদের এখানে কিছু সমস্যা আছে। সেটা দেশবাসী জানে। সেটার পাশাপাশি আমাদের নিজেদের ঐতিহ্য তুলে ধরতে হবে। আমি বাবুকে অনুরোধ করব একটা পর্যটন ব্যবস্থা করা যায় কীনা যেটা নৌপথে সারা নারায়ণগঞ্জ ঘুরিয়ে দেখাতে পারে। আরেকটা হল শীতলক্ষ্যার দুই পাশে ভারী শিল্প কারখানা রাখা হয়েছে। একে তো শীতলক্ষ্যা মরে গেছে। এখন এই ভারি ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তোলা হচ্ছে। শীতলক্ষ্যা যদি না বাঁচে আমরাও বাঁচবো না।
আপনারা ড্যাবে এটা আলোচনা করবেন। কিছু এলাকা দিতে পারে। কিন্তু পুরো শীতলক্ষ্যা, ধলেশ্বরী, তুরাগ, বালিসহ পুরো এলাকা জুড়ে হলে এটা ধ্বংসের মুখে নিয়ে যাবে।
আপনাদের কষ্টের কথাটা বলেছেন বলেই প্রধানমন্ত্রী এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শুধু সাংবাদিকদের পাশেই দাঁড়াননি। এমন কোন দুরস্থ জায়গা নেই, সব ধরনের অসহায় মানুষের পাশে সরকার দাঁড়িয়েছে। আমরা অনেক কাজই জানি না যেগুলো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজে ডেকে বলে দেয়। যখন সবাই বলল পদ্মা সেতু হবে না। কারন পৃথিবীর দ্বিতীয় সবচেয়ে খরস্রোতা নদী পদ্মা। সেখান থেকে তার দৃঢ়চেতা মনোভাবের কারনে আজ এই অবস্থান।
স্থানীয় সরকারকেও শক্তিশালী করা প্রয়োজন। আমি আপনাদের একটি কথাই বলি। গঠনমূলক সমালোচনা করুন। কারও নির্দেশে নির্দেশিত হয়ে অযথা মানুষকে হয়রানি করবেন না। অনেক সময় আমরাও সহ্য করতে করতে একটা সময় গিয়ে মামলা মোকদ্দমা করি। কারন তখন আর ধৈর্য্যে কুলায় না। তবে আমিও বলব আগের থেকে অনেক পজেটিভ অবস্থানে আছে নারায়ণগঞ্জ। আমরা আপনাদের শত্রু না। আমরা আপনাদের পাশে থেকেই কাজ করতে চাই। সমালোচনা সহ্য করার ক্ষমতা এতটাই হয়ে গেছে যে আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আপনারা আমার ধৈর্য্য বাড়িয়ে দিয়েছেন। আরেকজনকে ধন্যবাদ দিতে চাই আমার শ্রদ্ধেয় বড় ভাই যার কারনে আমি সারা বাংলাদেশ, সারা পৃথিবীতে পরিচিত হয়েছি। মাটিও মনে হয় এত ধৈর্য ধরে না।
একের পর এক মিথ্যা৷ আমার পরিবারকে নিয়ে যখন কথা বলে। বাবু কেন এত আবেগাপ্লুত আমি জানি। শুধু তাকে নয় তার বউ যে রাজনীতিতে আসেনি তার ফ্যামেলিকে নিয়ে যা বলা হয়েছে তা ক্ষমা করার মত না। সমাজকে পরিবর্তন করুন এবং তার সাথে আমাকে জড়ান। কলম আছে বলেই দু কলম লিখে টেবিল চাপড়ে বলেন আজ আইভীকে দেখিয়ে দিলাম বাবুকে দেখিয়ে দিলাম। এজন্যই আপনাদের ট্রেনিং দরকার।