বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

|

বৈশাখ ৯ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

কাউন্সিলকে ঘিরে রাজীবের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ২১:২৭, ২ জুন ২০২৩

কাউন্সিলকে ঘিরে রাজীবের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগ

ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কাউন্সিলরকে ঘিরে সাধারণ সম্পাদক পদে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী মাসুকুল ইসলাম রাজীবের বিরুদ্ধে নানাভাবে অপপ্রচারে নেমেছে একটি পক্ষ। রাজীবকে নানাভাবে হেয় করে তাকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে এ ধরনের কার্যক্রম বলে মনে করছেন রাজীব অনুসারীরা। 

এ ধরনের অপপ্রচারে কোনভাবেই বিচলিত নন রাজীবসহ জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা। নেতাকর্মীদের মতে, অতীতের সরকার দলীয় নানা ষড়যন্ত্রমূলক মামলা গ্রেফতারের ঘটনাকে সামনে এনে তাকে হেয় করতে ও তার ভোট কমাতে এসকল কাজ করলেও এতে তার জনপ্রিয়তা আরো বাড়বে। বিগত সময়ে দলের জন্য তার ত্যাগ নেতাকর্মীরা ভুলে যায়নি বলে মনে করেন তারা।

নেতাকর্মীদের মতে, রাজীব একমাত্র নেতা যিনি বিগত সময়ে শহরে বিএনপির সকল কর্মসূচীতে সক্রিয় ছিল। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে বর্জনে বিএনপির কালো পতাকা মিছিল করতে গিয়ে শহরে চাষাঢ়া শামীম ওসমান অনুসারীদের সাথে তার নেতাকর্মী ও তার লড়াই হয়। এসময় প্রকাশ্যে তার মিছিলকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়া হয়। বিগত ১/১১ এর পর যখন শহরে বিএনপি অভিভাবকহীন হয়ে পড়ে তখন থেকে রাজীব ও তার অনুগতরা রাজপথে নিজেদের অবস্থান ধরে রেখে বিএনপিকে শহরে জাগ্রত রেখেছেন। এরপর জেলা ছাত্রদলের কমিটির পূর্বে রাজীবকে ষড়যন্ত্র করে গ্রেফতার করে তাকে মাদক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ এনে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে কোন তথ্য প্রমান দিতে না পারায় মামলাটি খালাস করে দেয় আদালত। একই সাথে আদালত এ ধরনের রাজনীতিবিদদের এভাবে হয়রানি না করতে নির্দেশ দেয় এবং রাজীবকে সে মামলায় নির্দোষ প্রমানিত হওয়ায় খালাস প্রদান করেন। 

পুরাতন সেই বিষয়টি সামনে এনে আবারো বিএনপির কাউন্সিলের আগে তার সম্মানহানির চেষ্টা করছে একটি মহল এমনটাই অভিযোগ রাজীব ও তার অনুগতদের।

কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য এস এম শৈবাল হোসেন বলেন, এটি বুঝাই যায় কেন করা হচ্ছে। অনেক আগের একটি ঘটনাকে সামনে আনা হয়েছে এমন একটি সময় যখন সামনে কাউন্সিলর। এ ঘটনা সবাই জানে এবং আদালত এ ধরনের ঘটনায় পুলিশকে সেসময় বলেছিল যেন আর কখনো কোন রাজনীতিবিদকে এভাবে হয়রানি না করা হয়।

জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক শাহ আলম ভুঁইয়া বলেন, এটি লজ্জাজনক। আসন্ন কাউন্সিলে রাজীব ভাই অন্তত ৪০ শতাংশ বেশী ভোটে নির্বাচিত হবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি। দলের নেতাকর্মীদের আস্থায় থাকা নেতার বিরুদ্ধে অপপ্রচার তাকে টলাতে পারবেনা।

জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা এ ধরনের অপপ্রচারের জবাব কাউন্সিলে ভোটের মধ্যে বিএনপির নেতাকর্মীরা দেবে বলে বিশ্বাস করি। এসব সম্পুর্ণ মিথ্যা। 

মহানগর ছাত্রদলের সিনিয়র সহ সভাপতি শাহজাদা রতন বলেন, আমরা সবাই জানি বিএনপির অন্তকোন্দলে মাঝে মধ্যে ভুল তথ্য, ভুল উপস্থাপন ষড়যন্ত্র এসব হয়। তবে এ ধরনের নোংরা রাজনীতি করে আসন্ন কাউন্সিল থেকে রাজীব ভাইকে দূরে রাখা যাবেনা এবং তার জয় ঠেকানো যাবেনা। 

জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মঈনুল হাসান রবিন বলেন, আসন্ন জেলা বিএনপির কাউন্সিলকে ঘিরে নানা ধরনের ষড়যন্ত্রের মধ্যে এটি একটি। এটি অনেক পুরাতন ইস্যু আমরা এ ঘটনা সবাই জানি এবং এটি যে মিথ্যা তা আদালতে প্রমানিত হয়েছে। 

মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি হামিদুর রহমান সুমন বলেন, এ ধরনের ঘটনা নিন্দনীর। রাজীব ভাইয়ের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্নির হয়ে একটি মহল এ ধরনের প্রচার করছে। তবে কাউন্সিলে রাজীব ভাইয়ের জয় হবে আমরা আশাবাদী।