ফাইল ছবি
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে নারায়ণগঞ্জ মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ বন্দর উপজেলার নতুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিবানী সরকার এবং বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) গোলাম মুক্তার আশরাফ উদ্দিনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
ইউএনওর সাথে সাক্ষাতের পূর্বে, নারায়ণগঞ্জ মহানগরী জামায়াত আমীর ও ৪ আসনের এমপি প্রার্থী মাওলানা আবদুল জব্বার এবং সদর-বন্দর আসনের জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থী মাওলানা মইনুদ্দিন আহমাদ বন্দর থানার নবাগত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মুক্তার আশরাফ উদ্দিনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
উল্লেখ: ওসি আশরাফ উদ্দিন গত ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ তারিখে বন্দর থানায় যোগদান করেন।
সাক্ষাৎকালে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং স্থানীয় সমস্যা, বিশেষ করে কিশোরগ্যাংয়ের বিষয়টি তুলে ধরেন।
নেতৃবৃন্দ কিশোর গ্যাংয়ের বিষয়ে ওসির দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ওসি আশরাফ উদ্দিন মন্তব্য করেন যে, "এই গ্যাং প্রত্যেকটি দলের আছে।" জবাবে মাওলানা আবদুল জব্বার বলেন, "যদি আপনারা আমাদের ভেতর কোনো কিশোর গ্যাং দেখেন অবশ্যই ব্যবস্থা নিবেন।" তিনি জোর দিয়ে বলেন, "আমাদের দল থেকে কোনো কিশোর গ্যাংয়ের বিষয় নাই।"
মাওলানা মইনুদ্দিন আহমাদ স্থানীয় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও পরিবেশ সম্পর্কে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, "এই অঞ্চলে অনেক ফ্যামিলি আছে যারা খুনের সাথে জড়িত যেমন শামীম ওসমান, নাসিম ওসমান, আজমেরী ওসমান, অয়ন ওসমান তাদেরই বংশধর।" এছাড়াও তিনি একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিষয়ে উল্লেখ করে বলেন, তিনি সরাসরি "খুন, খারাপের সাথে জড়িত" এবং "তার ছেলেও খুনের সাথে জড়িত ছিলো।"
মইনুদ্দিন আহমাদ আরও উল্লেখ করেন যে, "বন্দরটায় কিছুটা খুন-খারাপি আছে, শান্তির চরে মাদকের কাছে সকলেই জিম্মি হয়ে আছে।" নবাগত ওসিকে স্বাগত জানিয়ে তিনি পবিত্র কোরআনের একটি আয়াতের সারমর্ম তুলে ধরেন, যেখানে আল্লাহ ভালো কাজের পক্ষে এবং খারাপ কাজের বিপক্ষে অবস্থান নিতে বলেছেন।
এসময় জামায়াতের ইসলামীর নারায়ণগঞ্জ মহানগরী সহকারী সেক্রেটারি এইচ এম নাসির উদ্দিন, বন্দর দক্ষিণ থানা আমীর ফজলুল হাই জাফরী, উত্তর থানা আমীর মাওলানা আতিকুর রহমান,উপজেলা আমীর মাওলানা খোরশেদ আলম ফারুকী, নবাগত দুই সরকারি কর্মকর্তাকে স্বাগত জানান এবং এলাকার আইন-শৃঙ্খলা উন্নয়নে প্রশাসনের সাথে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

